নিরপেক্ষ সরকারের জন্য আন্দোলন করবে বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করবে জানিয়ে এজন্যে প্রস্তুতি নিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপিকেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচি হাতে নিতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেই লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামী দিনে যাতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, সেজন্য একটি রূপরেখা দেবেন। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকারের যে রূপরেখা দেশনেত্রী দেবেন, তা আদায় করার জন্য আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটা চরম দুর্দিনে, চরম হতাশার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এদেশের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে আছে। দেশের গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, মুক্তচিন্তা বিকাশের সুযোগ নেই। সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তথাকথিত সংসদেও আজকে দেশের অর্থনীতির কী অবস্থা তা প্রকাশ পাচ্ছে।’

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম সহসভাপতি খায়রুল কবির খোকন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এম আবু তাহের, এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, জামালউদ্দিন খান মিলন, নাসির উদ্দিন হায়দার, উলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে আরেক আলোচনা সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীনদের নানামুখী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাজেটের ওপর সংসদ অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই বলে আজকে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ স্থবির, রপ্তানি নিম্নমুখী, রেমিট্যান্স নিম্নগতি, কৃষি, সেবা ও শিল্প খাত নিম্নগতি। দেশে আসলে প্রকৃত অর্থনীতি এখন কাজ করছে না।

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেটে অর্থটা আনবে কোত্থেকে? তাকে বাধ্য হয়ে মধ্য-নিম্নবিত্ত গরীব মানুষের পকেটে হাত দিতে হচ্ছে। এই অবস্থার জন্য অর্থমন্ত্রী একা দায়ী নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগ সকলের ব্যর্থতার দায় অর্থমন্ত্রীকে স্ক্যাপবোট করে তারা মুক্ত হতে চাচ্ছে, আর কোনো কিছু নয়। তাই অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা তাদের (সরকার ও সরকার প্রধান) স্ক্যাপবোট করার জন্য।’

তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শাহ নেসারুল হক, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুন ২০১৭/রেজা/সাইফ