ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জয়ের জন্মদিনে দেশবাসীর দোয়া চাইলেন শেখ হাসিনা

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৭ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জয়ের জন্মদিনে দেশবাসীর দোয়া চাইলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৭তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জয়ের জন্মদিনের প্রসঙ্গ উঠলে তার মা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইব, জয়ের জন্য দোয়া করবেন।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জয়ের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সবরকম পরামর্শ দিয়েছিল।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় গৃহবন্দি থাকাকালে জয়ের জন্ম ও সেই সময়ের কষ্টের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন, এর কিছু দিন পরে মা, জামাল, রেহানা, রাসেলসহ ধানমন্ডির পুরনো ১৮ নম্বরের একটি একতলা বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হলো। বন্দিখানায় ভেজা স্যাঁতসেতে ফ্লোর, সেখানে আমাদের থাকতে হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হতো না। জয়ের জন্মের সময় আমার মা হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে যেতে হয়নি। মা যখন যেতে চেয়েছে তখন পাকিস্তানি সেনা অফিসার বলেছিল, আপনি তো নার্সও না ডাক্তারও না, আপনি যেয়ে কী করবেন। যাই হোক, ওই অবস্থায়ই জয়ের জন্ম হয়।’

সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম রাখার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয়ের জন্মের পর বন্দিখানার মধ্যে আমরা কিছুটা হলেও সজীবতা পেয়েছিলাম বলে মা তার নাম রেখেছে সজীব।’

জয় নাম রাখার পেছনে একটা ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১-এর ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, আমি থাকতে পারব কিনা জানি না, দেখতে পারব কিনা জানি না। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করবই। আমি সে ব্যবস্থার সবই করে রেখে গেছি। তোর ছেলে হবে, সে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হবে। ছেলে হলে তার নাম জয় রাখবি।’

সবাইকে সততা ও ত্যাগের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। দেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কী পেলাম সেটা বড় কথা না, মানুষের জন্য কী করলাম সেটাই একজন রাজনীতিকের নীতি হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতি দুই কারণে হতে পারে, একটা হলো যে দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করব, দেশের মানুষকে কী দিতে পারব। দেশকে কীভাবে উন্নত করতে পারব সেই চিন্তা নিয়ে। আরেক ধরনের আছে, কোনোমতো রাজনীতি করে দুই পয়সা কামাই করে অর্থ সম্পদের মালিক হওয়া।

জাতির পিতা নিজের ভাগ্য গড়ার রাজনীতি করেন নাই।তিনি চেয়েছেন মহান ত্যাগের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। জাতির পিতার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য এনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি শুধু এদেশের স্বাধীনতার পথই দেখিয়ে যাননি, অর্থনৈতিক মুক্তির পথও দেখিয়ে গেছেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৭/নৃপেন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়