ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ইসির কাজ কী : ফখরুল

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৯ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইসির কাজ কী : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ফেরানো ইসির কাজ নয়’ বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাহলে নির্বাচন কমিশনের কাজ কী?’

শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ কী? তাদের কাজ কি শুধু সরকার যা চাইবে সেই কাজ করা? সংবিধানে বলা আছে, সকল রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সকল ভোটারের ভোট প্রদানের মাধ্যমে একটা সুন্দর সহায়ক পরিবেশের মধ্যে ভোট নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে একটা রাজনৈতিক সংকট আছে। সেই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে এই সরকারের অধীনে। আর সেই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। অথচ দুঃর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে তাদের প্রয়োজনে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছে। আমরা (বিএনপি) সব সময় এর বিরোধীতা করে এসেছি। বলে এসেছি নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার না হয়, সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছেন।’

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান মির্জা ফখরুল।

জিয়াউর রহমানের শাসন আমল নিয়ে ষোড়শ সংশোধনীর বাতিলের রায় পর্যবেক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শাসনামলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নই আসে না। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া অবৈধ হতে পারে না। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমানের সময়ে বিধিমালা অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম করে যাচ্ছে। ফলে জিয়ার শাসন অবৈধ হয়ে থাকলে আজকের আওয়ামী লীগ অবৈধ। মূলত আওয়ামী লীগের স্বভাবজাত কৌশল মূল বিষয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’

সংলাপের ভবিষ্যত এবং বিএনপি মূল এজেন্টা কী হবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংলাপের ভবিষ্যত কী হবে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন তো বলেই দিয়েছেন তিনি শুধু শুনবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর বিএনপি সংলাপে কী ধরনের প্রস্তাব দেয় তা সংলাপকালীন সময়ে জানতে পারবেন।’

বিএনপি বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিই প্রথম বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সমাগ্রিক বিতরণ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমরা ত্রাণ কমিটি গঠন করেছি এবং আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। বরং সরকার কাজ না করে তাদের যে মুখের জোর আছে সেই দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সরকার এই বন্যা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ত্রাণ সামগ্রিক বিতরণ অত্যন্ত অপ্রতুল।’

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সাংগটনিক ইয়াসিন আলী সহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ আগস্ট ২০১৭/রেজা/ইভা  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়