ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হবে’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মাধ্যমে একদিন গোটা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের জমায়েত ও আনন্দ র‌্যালিতে তিনি এ আশা প্র্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এ জমায়েত ও আনন্দ র‌্যালি করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমা কী কারণে? কোন অপরাধে? আর কে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছে? কে আপনাকে ক্ষমা করতে বলেছে? শেখ হাসিনা এমন কোনো অপরাধ করে নাই, যার জন্য কাউকে ক্ষমা করতে হবে।

আমরা কথা দিচ্ছি, প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না, খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এটা জনগণ বিশ্বাস করত, আপনি যদি ওই জনসভায় বলতেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে আপনি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিলেন। আপনি যদি আমাদের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়া, শ্রমিকনেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, নাটোরের এমপি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, খুলনার মনজুরুল ইমামের মতো আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করা ভুল হয়েছিল, অপরাধ হয়েছিল বলে স্বীকার করতেন। আপনি যদি ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আমাদের নেত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তি সমাবেশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং আপনার পুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার নির্দেশ দিয়েছিল, সেই অপরাধের কথা যদি স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতেন, ভুল স্বীকার করে বলতেন, আমরা ক্ষমা চাই, আর প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না, তাহলে মানুষ বিশ্বাস করতে পারত, আপনার মনে হয় বোধোদয় হয়েছে, আপনি হয়ত আসলেই শুধরিয়ে ভালো রাজনীতি করতে চান।

মাহবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, মিথ্যাচারের জন্য কখনো অনুশোচনা বোধ করেন নাই, কখনো দুঃখ প্রকাশ করেন নাই, কখনো জাতির কাছে ক্ষমা চান নাই। কোন ভরসায় জনগণ আপনার কথা বিশ্বাস করবে? আপনার গোটা রাজনীতিই তো ছিল মিথ্যাচারের রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি। ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে আপনি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে জাতিকে আবারও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এজন্য আপনাকে ধিক্কার জানাই। আপনি যে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে এখনো সরে আসেন নাই, সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/নৃপেন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়