‘ত্যাগী নেতা ছিলেন এম এ আজিজ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : এম এ আজিজ ছিলেন বিনয়ী, নিরহংকারী, সদালাপী ও ত্যাগী নেতা। । ক্ষমতার এত কাছাকাছি থেকেও তিনি কখনো দাম্ভিকতা দেখাননি। তিনি খুবই কর্মীবান্ধব ছিলেন। খুব সহজেই কর্মীদের তিনি আপন করে নিতে পারতেন। অনেক নেতা এটা করতে পারেন না।

মঙ্গলবার বিকেলে  বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  এম এ আজিজের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

বক্তারা বলেন, এম এ আজিজ ছিলেন একজন উচু মাপের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর যেমন ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি, তেমনি পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আস্থাভাজন হিসেবে শেখ হাসিনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যখন মহানগরে কোনো আওয়ামী লীগ কর্মী খুজে পাওয়া যেত না, তখনও তিনি দলকে ছেড়ে যাননি। 

নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে বিভিন্ন মহল থেকে অনেক চাপ থাকা সত্ত্বেও আজিজ আপোস করেননি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের সময় ২৫ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর অভিযানে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন মরহুমের বড় ছেলে ওমর বিন আজিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ওমর বিন আব্দুল আজিজ তামিম, সহ-প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ শুভ্র, কার্যনির্বাহী সদস্য মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, আনিস আহমেদ প্রমূখ। দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন।

এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বাদ জোহর পরিবারের পক্ষ থেকে পুরান ঢাকার হোসনী দালানে মরহুমের নিজ বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের সম্মেলনে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি হন এম এ আজিজ। হানিফ মারা যাওয়ার পর ২০০৭ সালে আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/নৃপেন/এনএ