ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির তৎপরতা নেই

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির তৎপরতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এম. হাফিজ উদ্দিন খান।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্যা ঢাকা ফোরাম’ আয়োজিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য যে বেসিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়নি। ইলেকশন কমিশনের সে ধরনের তৎপরতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনেক কিছু বুঝিয়ে এসেছি কিন্তু কোনো লাভ দেখতে পাচ্ছি না। ইলেকশন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ফেয়ার ইলেকশন করা। এর জন্য যদি সরকারের কোনো আইন চেঞ্জ করতে হয় কমিশন সরকারকে তা পরামর্শ দেবে। এটা আমরা তাদের কাছে চাই। একদল নির্বাচনী কার্যক্রম চালাবে অন্য দল ঘরে বন্দি থাকবে এটা হতে পারে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্ণর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তাহলে জনগণকে এর ভুক্তভোগী হতে হবে। একই সঙ্গে দেশে ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারী ও প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিচারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আমাদের বড় ব্যর্থতা আমাদের দেশে সরকার আছে কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারছে না। আমরা এমন এক পদ্ধতি চাচ্ছি, যার দ্বারা জনগণের পার্লামেন্ট গঠিত হবে। কিন্তু এখন যে পার্লামেন্ট আছে তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রথম অন্তরায় ভারত ও দ্বিতীয় অন্তরায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশে যে ক’টি নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয়েছে, ততবার বিরোধী দল নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। আমি ভারতের কথা এজন্য বলছি কারণ, আমাদের দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক, ভারত নিজের স্বার্থে তা চায় না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনেরও কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কী তাদের কোনো বার্তা দিয়েছে? এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চুপ কেন? তাদের ভূমিকা কী? তাদের কাছ থেকে যেকোনো পদক্ষেপ আসবে তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।

গোলটেবিল বৈঠকে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়