ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রমাণ করতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ২৩ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রমাণ করতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে উড়ো, অবান্তর কথা বলেছেন, সেটি প্রদর্শন না করলে তার বিরুদ্ধে বিএনপি আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ‘লন্ডন হাইকমিশনে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। সে কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়।’

রিজভী বলেন, আসলেই সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও অনর্গল মিথ্যা বলার যে একটি ‘সেন্টার অব এক্সসেলেন্স’ সেটি আবারো প্রমাণ করলেন সেই কেন্দ্রের একজন সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্জলা মিথ্যা কথাটি বলেছেন। পাসপোর্ট সারেন্ডার করে তারাই, যাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশিদের বিয়ে করে বিদেশেই নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। বিদেশেই বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী গর্বের সঙ্গে নিজেকে ব্রিটিশ বলতেই ভালোবাসেন, বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে নয়। আওয়ামী নেতারা নিজেদের সন্তানদের বিদেশিদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে আত্মস্লাঘা লাভ করেন। জিয়া পরিবারের কেউ বিদেশিদের বিয়ে করেননি। পৃথিবীর কোনো দেশে তারা কোনো নাগরিকত্ব গ্রহণও করেননি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমানের পাসপোর্ট হাইকমিশনে জমার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে উড়ো, অবান্তর কথা বলেছেন, তার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রিজভী বলেন, যারা বাংলা ভাষা, আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে মার্কেটিং করতে সদা তৎপর, অথচ তারাই কোন চেতনায় বিদেশিদের কাছে সন্তানদের বিয়ে দিচ্ছেন, সেই চেতনাটি কী সেটি ক্ষমতাসীনদের পরিষ্কার করা উচিৎ। পৈশাচিক একদলীয় শাসনের বর্বর আস্ফালনে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যাতনা দিচ্ছে জনগণকে। যারা দেশের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে, বেগম পল্লী বানিয়ে গোটা পরিবারকে সেখানে প্রতিপালন করে, তারা আবার কিসের বাংলাদেশি? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি প্রদর্শন করুন। হাইকমিশন তো সরকারের অধীন, তাদের বলুন সেটি দেখাতে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা আত্মা বিক্রির সমতুল্য।

তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের মাটি, পানি ও জলবায়ুর সন্তান। সরকারের চক্রান্তে মিথ্যা মামলায় পরিণতি কী হবে সেটি নিয়ে কোনো চিন্তা না করে কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসেছেন বেগম খালেদা জিয়া। অথচ সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক আওয়ামী নেতারাই বলেছিলেন, বেগম জিয়া লন্ডন থেকে আর ফিরবেন না। কিন্তু তারা বেগম খালেদা জিয়াকে চিনতে পারেননি।

তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘একটা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের ভাষ্য না নেওয়াটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ।’ তিনি এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করেছেন। আমি বলতে চাই, সরকারের ভাষ্য নিলে তো সেটি হবে তাদের একতরফা নির্বাচন, একতরফা অপশাসনের মতো একতরফা বাকশালী ভাষ্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আতাউর রহমান রহমান ঢালী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৮/হাসিবুল/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়