ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১০ দিন তার স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ১০ দিন ধরে পরিবারের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। পরিবারের স্বজনসহ আমরা দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার কোনো খবর পাচ্ছি না। বিএনপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম দেশ নেত্রীর শারীরিক অবস্থার প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। তার হাঁটা-চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। এখন তাকে পরিত্যক্ত স্যাঁতস্যাঁতে অস্বাস্থ্যকর ভবনে রাখায় নানা ধরনের রোগ ও সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন তিনি। এমনকি সরকারি মেডিক্যাল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়াকে অর্থোপেডিক্স বেড দেওয়ার এবং ফিজিওথেরাপির সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত সেটির কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেশনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া ভয়াল ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অশুভ ও দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যেই কারাবন্দি করা হয়েছে বলে আমরা বারবার যে আশঙ্কার কথা বলে আসছি সেটি আরো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতেই তাকে সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে।’

‘এখন তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে প্রতিহিংসার এক বিভৎস প্রতিশোধ নিতে চান কী না তা নিয়ে দেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত। আমরা দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের সুযোগ করে দিতে এবং তার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেত্রীকে মুক্তি না দিলে অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে কঠিন খেসারত দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রিজভী।

বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে কি না, সেই সংশয় এখন বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আসলেই নাচের পুতুলের ভূমিকাই পালন করছেন। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন।

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, দেশের মানুষকে না জানিয়ে এ ধরনের দেশবিরোধী চুক্তির খবরে গোটা জাতি হতভম্ব ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে। দেশবাসী মনে করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে দেশবিরোধী এই গোপন চুক্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভিন দেশের এক্সটেনশন হতে দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মে ২০১৮/রেজা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়