ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গণমুখী ও শিল্পবান্ধব বাজেট চায় গণমোর্চা

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২৫ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গণমুখী ও শিল্পবান্ধব বাজেট চায় গণমোর্চা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনমুখী বাজেট নয়, গণমুখী ও শিল্পবান্ধব বাজেট চায় সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও গণমোর্চা।

শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডে দল দুটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রাক বাজেট সংলাপে জাতীয় নেতারা একথা বলেন।

গণমোর্চার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মী প্রবীণ জননেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল আলম দুদু। সংলাপের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পাটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম।

আলোচনায় অংশ নেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ, তফসিল জাতি ফেডারেশন এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সাহা, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় জোট এর আক্কাছ আলী খান, গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট এর দীপু মীর, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ মাস্টার)।

বাজেট সংলাপে আলোচকরা বলেন, জাতীয় বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দলিল। এই বাজেট যেন নির্বাচনমুখী বাজেট না হয়। বাজেট হতে হবে গণমুখী ও শিল্পবান্ধব।

তারা বাজেট প্রণয়নে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে বিবেচনা করে উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন বাজেট প্রনয়ণ এবং তা অর্থায়নে অবাস্তব রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধার করা উচিৎ হবে না। আমজনতা ও ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা সমাজ বৃহৎ বাস্তবায়ন অযোগ্য বাজেটের চাপ সহ্য করতে পারবে না। এ বছরের ১৩ মার্চ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৪ সালে চুড়ান্ত স্বীকৃতি অর্জন এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, রেশনিং, কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানী বহুমুখীকরণ ইত্যাদি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

সংলাপে নেতারা আসন্ন বাজেট প্রণয়নে কৃষক, শ্রমিক, গণমানুষ ও দেশীয় উদ্যোক্তাদের কল্যাণে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

কৃষিখাতের জন্য সুপারিশ তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে কৃষি উপকরনে ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি করা, যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী দেশীয় কারখানাসমূহকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া, কৃষক, ক্ষুদ্র কৃষি পণ্য ব্যবসায়ী ও আড়ৎ মালিকদের সমন্বেয় কৃষি বিপনণ পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ থাকা, কৃষি পণ্য ভিত্তিক হিমাগার গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের কর সংক্রান্ত ও বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা, আলুসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের রপ্তানী বাড়ানোর জন্য বিশেষায়িত টেস্টিং ফ্যসিলিটি গড়ে তোলার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা।

শিল্প উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় শিল্প পার্ক গড়ে তোলা, শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা, ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ল্যাস্টারসমূহে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের কর সংক্রান্ত ও বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বাজেটে বিশেষ ফান্ড গঠন করা দরকার বলে মনে করেন আলোচকবৃন্দ।

এভাবে নেতারা সেবাখাতে প্রতিটি জেলায় আধুনিক সেবাখাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বরাদ্দ, ই-কমার্স ব্যবসাকে ৫ বছরের জন্য আয়কর মুক্ত রাখা, নির্মাণ শিল্পের সব ধরনের ফি কমানোর প্রস্তাব বাজেটে প্রয়োজন বলে সুপারিশ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৮/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়