ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সুইডেনকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ৭ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুইডেনকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

আবু হোসেন পরাগ : তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড।

১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। 

সামারা অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৮টায়।

শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড।

আবারো ইংল্যান্ডের ত্রাতা পিকফোর্ড
৬২ মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভ করে আবারো ইংল্যান্ডের ত্রাতা গোলরক্ষক পিকফোর্ড। বক্সের ভেতর থেকে ভিক্টর ক্লায়েসনের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান ২৪ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক।

২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড
কই সুইডেন শোধ দেবে, উল্টো ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে ইংল্যান্ড। এই গোলটাও হেডে। হেসে লিনগার্ডের দারুণ ক্রস থেকে ডেলে আলীর হেড খুঁজে নেয় সুইডেনের জাল।



পিকফোর্ডের দারুণ সেভ
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরতে পারত সুইডেন। কিন্তু দারুণ এক সেভ করে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ক্রস থেকে আসা বলে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো হেড করেছিলেন মার্কাস বার্গ। কিন্তু বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বল ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। 

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
বিশ্বকাপে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে আজকের আগে ২২ ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরেছে মাত্র একটি (১৭ জয়, ৪ ড্র)। একমাত্র হারটি ১৯৭০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে।

প্রথমার্ধ শেষে
সুইডেন ০-১ ইংল্যান্ড।

সুযোগ হারালেন স্টার্লিং
আগের মিনিটেই একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত অফ সাইডের ফাঁদে পড়েন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আরেকটি বড় সুযোগ আসে স্টার্লিংয়ের সামনে। নিজেদের অর্ধ থেকে ত্রিপিয়ার লম্বা ক্রস খুঁজে পায় স্টার্লিংকে। অফ সাইডের ফাঁদ গলে স্টার্লিং বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়েছিলেন। তবে বাঁ দিকে হাত বাড়িয়ে বল ফিরিয়ে দেন সুইডিশ গোলরক্ষক ওলসেন। আবার বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু সেটি ব্লক করেন গ্রানকভিস্ট।    

এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড
৩০ মিনিটে প্রথম কর্নার পেয়েই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্নার থেকে আসা বল বক্সের মধ্যে জটলা থেকে হেডে সুইডেনের জালে পাঠান হ্যারি মাগুইয়ার। ইংল্যান্ডের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। প্রথম গোলের জন্য এর চেয়ে বড় মঞ্চ আর পেতেন না! এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ১০ গোলের ৮টি হলো সেট-পিস থেকে!



পেনাল্টির আবেদন
২৩ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের ক্রস বক্সের ভেতর সুইডেনের ফর্সবার্গে হাতে লেগেছিল। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। তবে রেফারি সে আবেদনে সাড়া দেননি।

ইংল্যান্ডের সুযোগ নষ্ট
১৯ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পায় ইংল্যান্ড। মাঝমাঠের কাছে বল পেয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে সুইডেনের এক খেলোয়াড়কে কাটান তিনি। বক্সের সামনে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি কেন। 

ম্যাচ শুরু
শুরু হয়ে গেল ইংল্যান্ড বনাম সুইডেন তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। জয়ের হাসি কে হাসে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।  

অপরিবর্তিত ইংল্যান্ড
শেষ ষোলোয় কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একাদশেই আস্থা রেখেছেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সে ম্যাচের একাদশ নিয়েই আজ মাঠে নামছে ‘থ্রি লায়নস’রা।

সুইডেন একাদশে দুই পরিবর্তন
সুইডেন একাদশে দুটি পরিবর্তন প্রত্যাশিতই ছিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে আজ খেলতে পারছেন না মাইকেল লাস্টিগ। তার জায়গায় এসেছেন এমিল ক্রাফট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সেবাস্তিয়ান লারসন ফিরেছেন গুস্তাভ সভেনসনের জায়গায়।

ইংল্যান্ড একাদশ
পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, মাগুইয়ার, ত্রিপিয়ার, লিনগার্ড, হেন্ডারসন, আলী, ইয়াং, স্টার্লিং, কেন।

সুইডেন একাদশ
ওলসেন, লিন্ডলফ, গ্রানকভিস্ট, ক্রাফট, অগাস্টিনসন, ক্লায়েসন, লারসন, একদাল, ফর্সবার্গ, টইভোনেন, বার্গ।



পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ড-সুইডেন
ইংল্যান্ড ও সুইডেন এর আগে ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮টি, সুইডেন ৭টি, বাকি ৯ ম্যাচ ড্র হয়েছে।

বিশ্বকাপে দুই দলের দুবারের দেখায় দুটিই ড্র হয়েছে। ২০০২ সালে ১-১ গোলে, ২০০৬ সালে ২-২ গোলে’ দুটিই গ্রুপপর্বে। অর্থাৎ নকআউট পর্বে এটিই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।

সুইডেন এর আগে চারবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে তিনবার সেমিফাইনালে উঠেছে (১৯৩৮, ১৯৫৮, ১৯৯৪), শুধু ১৯৩৪ সালের টুর্নামেন্টে তারা জার্মানির কাছে হেরেছিল।

২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ১৯৯০ সালের পর ‘থ্রি লায়নস’রা কখনো সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি।

ইংল্যান্ড এর আগে আটবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে মাত্র দুবার সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছে, ১৯৬৬ সালে যেবার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ও ১৯৯০ সালে।



রোড টু কোয়ার্টার ফাইনাল
তিউনিসিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা নবাগত পানামাকে উড়িয়ে দেয় ৬-১ গোলে। শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে নকআউট পর্বে ওঠে ‘থ্রি লায়নস’রা। আর শেষ ষোলোয় কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

সুইডেন ছিল ‘এফ’ গ্রুপে। তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা জার্মানির কাছে হেরে যায় ২-১ গোলে। শেষ ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম লেখায় নকআউট পর্বে। শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে সুইডিশরা ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুলাই ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়