ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সরকারের সম্মানজনক প্রস্থান চায় বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১৮ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকারের সম্মানজনক প্রস্থান চায় বিএনপি

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংলাপ আয়োজন করে সরকারের ‘সম্মানজনক প্রস্থান’ দেখতে চায় বিএনপি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন যদি নির্বাচনে না হয় তাহলে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। সেই নির্বাচন হতে হলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

‘আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। অন্যান্য ন্যায্য দাবি মানতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। তারপরেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। তারপরেই নির্বাচন। নইলে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে’, বলেন বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। একই খেলা বার বার হয় না। কাজেই সরকারকে বলতে চাই,  সম্মানজনক নিষ্ক্রমণের পথ, সম্মানজনকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পথ একটাই অবশিষ্ট আছে। সেটা হলো অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, রাজবন্দিদের মুক্তি দিন, যেসব শিশু-কিশোরদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে রেখেছেন তাদের ‍মুক্তি দিন।’

সিলেট সিটি করপোরেশ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ সরকার জানে যে, ওই দুটি কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী যদি ১৬১টা ভোট পায় তাহলেই জিতে যাবে। কাজেই ওখানে কারচুপির চেষ্টা করল না। এর ফলে যেটা হলো আমাদের প্রার্থী ২ হাজারের বেশি পেলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৫০০ ভোটের মতো। অর্থাৎ চার ভাগের একভাগ। এটাই হলো দেশের নির্বাচনের হিসাব।’

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের  ব্যাখ্যা :
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের অভিযোগের জবাব দিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এক বক্তব্যে স্বাধীনতার কথা বলেছে যে, ফিরিয়ে আনতে হবে। এই কথার অর্থ এই না যে, আবার একাত্তর সালের মতো লড়াই করে ওইরকম স্বাধীনতা আমাদের আনতে হবে। বুঝতে হবে আপনাকে রাজনীতির ভাষা।  এই স্বাধীনতার মানে হলো আপনার রাজনীতি করার স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বাধীনতা, সুন্দর, সুস্থ ও নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায়। আসলে স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না এটা স্বাধীনতা নয়। সেই কারণে বলেছেন উনি এই কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটা কী রাষ্ট্রদ্রোহীতা নয়?’

মহানগর উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করীম মজুমদারসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়