ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ইভিএম কেনার নেপথ্যে কারচুপি-অর্থ আত্মসাৎ’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ইভিএম কেনার নেপথ্যে কারচুপি-অর্থ আত্মসাৎ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার নেপথ্যে ‘কারচুপি আর অর্থ আত্মসাতের’ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ইভিএম কেনার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য কাজ করছে সরকারের। প্রথমটি হচ্ছে ভোটারবিহীন কারচুপির নির্বাচন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।’

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলের আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সমাজের নানাস্তরের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট আপত্তি জানিয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সেই আপত্তিতে সাড়া দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছিলেন।’

‘অথচ গতকাল একনেকে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে জালিয়াতির মেশিন ইভিএম এর ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। এছাড়া সরকারের আর উপায় নেই। কারণ সরকারের নির্বাচন দরকার কিন্তু ভোট দরকার নেই, পুনরায় ক্ষমতা লাভের কাড়াকাড়িতে ব্যস্ত সরকারের কাছে ইভিএম কেনা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এই মেশিন ভোট গ্রহণের দিন ব্যবহার হলে ভোটারদের প্রয়োজন হবে না।’

রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যই হলো-আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন পাকাপাকিভাবে কারচুপি’র বন্দোবস্ত করা এবং লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া। একনেকে অনুমোদন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে সরকারের দু’জন কর্মকর্তা ইভিএম ক্রয় করতে বিদেশ গেছেন।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে দলটির এই নেতা বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) আগে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র অভিজ্ঞ থেরাপিষ্ট। পরে তাকে পরিবর্তন করে সরকারদলীয় মনোভাবাপন্ন একজন নতুন অনভিজ্ঞ থেরাপিষ্টকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা রহস্যজনক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে রাখা হয়নি। এজন্যই আমরা দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত।’

সরকার খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তাকে দ্রুত বিশেষায়িথ হাসপাতালে নেয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন রিজভী।

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি কার্যালয়ে আইনজীবীসহ নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন রিজভী।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮/রেজা/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়