ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফরিদপুরের পদ্মা ও মধুমতির পাড়ের মৎস্যজীবীরা ভালো নেই

মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফরিদপুরের পদ্মা ও মধুমতির পাড়ের মৎস্যজীবীরা ভালো নেই

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের পদ্মা ও মধুমতি নদী পাড়ের মৎস্যজীবীরা ভালো নেই। ৭ অক্টোবর থেকে ইলিশ সংরক্ষণ কাযক্রম শুরু হওয়ায় এ দুই নদীর জেলেরা খুবই কষ্টে দিন পার করছেন।

পদ্মা ও মধুমতিতে  সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কষ্টে রয়েছেন তারা। অনেকের অভিযোগ, মৎস্যজীবী কার্ড থাকলেও এখনো মেলেনি সরকারি প্রনোদনা। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে দুর্গা পুজা শুরু হলেও এখনো অনেকেই পরিবারের সদস্যদের দিতে পারেননি নতুন পোষাক।

পদ্মায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা টেপাখোলার বিন্দু পাড়ার মৎস্যজীবী সুমন বিশ্বাস, নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস, কানাই বিশ্বাসসহ অন্যরা জানান, নদীতে নিয়মিত মাছ ধরেই চলে জীবিকা। তাই মাছধরা বন্ধ থাকায় অসহায় দিন কাটছে পরিবার পরিজন নিয়ে। ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন ধরণের জাল নিয়েই তারা নদীতে যেতে পারছেনা।

বিন্দুপাড়ার মৎস্যজীবী রামা বিশ্বাস, বিষ্ণু বিশ্বাসদের দাবী, মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কোন ধরণের সহযোগিতা বা প্রণোদনা পাননি তারা।

ফরিদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ৫২৫৮জন কার্ডধারী মৎস্যজীবি থাকলেও ইলিশ ধরার উপর নির্ভর করা চার উপজেলার ২২৩৭জন মৎস্যজীবীকে ২০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি জানান, জেলার সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও মধুখালী উপজেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পদ্মা ও মধুমতি নদীতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। ৭ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২৬াট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৫৮জন মৎস্যজীবীকে সর্বোচ্চ এক বছরের ও সর্বনিম্ন সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।




রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/১৬ অক্টোবর ২০১৮/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়