ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সরকার বিচলিত : মওদুদ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সরকার বিচলিত : মওদুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধী নতুন জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠিত হওয়ার পর সরকার বিচলিত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে গঠন করার পর থেকে সরকার বিচলিত হয়ে গেছে। বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে তারা এটা প্রমাণ করেছে যে, তারা ভয় পায়। এই ঐক্যের মাধ্যমে আমরা যে সঠিক কাজ করেছি তা সরকারের সমালোচনা শুনেই বুঝতে হবে। না হলে এত সমালোচনা করতে হতো না। এত অশালীন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে প্রমান হয়ে গেছে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হবে।’

জাতীয় ঐক্রফ্রন্ট গঠনের পর দেশের মানুষের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ একটাই কথা বলে, ঐক্য হয়ে গেছে। মনে একটা আশা তৈরি হয়েছে। একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে দেশের মানুষ। নিজেদের মধ্যে একটা আস্থা ফিরে পেয়েছে মানুষ। তারা আশা দেখছে যে, আগামী নির্বাচনে নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের পরাজয় হবে সামনে। সিলেটে জনসভার জন্য পরশু দিন অনুমতি দেওয়া হলো আবার নিয়ে নেওয়া হলো। এতে প্রমাণিত সরকার জনপ্রিয়তার দিক থেকে কত নিচে নেমে গেছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নাই- এটাই তারা বারবার প্রমাণ করছে।’

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন।

সরকার ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও জিততে পারবে না এবং তাই হবে। এই ভয়ে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আর তিন মাসও নাই কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায় তারা আজকে কতটা ভীত।’

নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিস্ক্রিয় করতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন দলটির এই নীতি নির্ধারক।

তিনি বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার গায়েবি মামলা দিয়েছে। ঘটনা ঘটেনি, মামলা দিয়ে রেখেছে। এক একটি মামলায় ৪০০-৫০০ আসামি। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকে নেতাকর্মীদের আগাম জামিনের জন্য আসতে হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সাড়ে ৩ লাখ জনকে আসামি করা হয়েছে। এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ? ভুতুড়ে মামলা করে সব নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।

আলোচনার মাধ্যেমে একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে দ্রুত মাঠে নামার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান মওদুদ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কঠোর সমালোচনা করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে তারা আজকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এটা সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে হস্তক্ষেপ। সম্প্রচার আইন করা হয়েছে নির্বাচনের আগে সরকারের সমালোচনা যাতে না করতে পারে। শুধু উন্নয়নের গান গাওয়া যাবে, কোনও সমালোচনা করা যাবে না।’

আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম, সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ অক্টোবর ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়