সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনের আগে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। একই সঙ্গে, নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যেন নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সম্প্রীতির উদাহরণ এখন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আবারো ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ আর ১৯৭১ এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেওয়ার সময় এসেছে। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস মিলন আর সম্প্রীতির ইতিহাস। ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার স্থান সেখানে নেই, স্থান নেই একাত্তরের পরাজিত শক্তির।’

ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সামনে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন আসছে। আমাদের আশঙ্কা এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে। এজন্য নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যেন নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাবো। আমার ভোট আমি দেব, তবে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেব।’

চলতি বছর কোনো রকম অঘটন ছাড়াই তিনটি বড় ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়েছে জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের মানুষের সম্প্রীতি মনোভাবের কারণেই অন্ধকারের কুশীলবরা কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। তাই একই ধারাবাহিকতায় প্রবারণ পূর্ণিমা ও বড়দিন উৎসবও নির্বিঘ্নে পালিত হবে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের নামে দেশে অঘটন ঘটিয়েছে আমরা সেই শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চাই না। উন্নয়নের ও সম্প্রীতির দেশকে রক্ষায় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। এর বিকল্প মানেই সম্প্রীতি নষ্ট, নির্যাতন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান।’

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের পক্ষে ড. অসিম কুমার সরকার, ড. মামুন আল মাহতাব, ড. নুজহাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ অক্টোবর ২০১৮/ইয়ামিন/সাইফ