ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির চিঠি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ২০ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে  বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসি সচিব, পুলিশ কমিশনার, উপ-কমিশনার ও ইসির যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিব এবং সিইসিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি ইসি সচিব ও কমিশনারকে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণ বিধি পালন সংক্রান্ত চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে।  শুধু সচিব নয় ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনোর উপ-কমিশিনার ও সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবেরও শাস্তি চাওয়া হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই বিচার চাওয়া হয়। এই শাস্তি চাওয়া চিঠিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এম নূরুল হুদা ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দেন প্রতিনিধিদল।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ করে যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল গাড়ি পিকপাকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করে। এছাড়া নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়। এ সময় ঘটনায় পুলিশি তো তৎপরতা না নিয়ে বিএনপি মনোনয়নপত্র বিতরনের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়ে বসে। কথিত আচরণ বিধি খড়ক নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি সচিব গণমাধ্যম আচরণ বিধি পালনের কঠোর হুমকি নিয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতা-কর্মী সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংঘঠনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

চিঠিতে প্রশ্ন রাখা হয়, আওয়ামী লীগের জনসমাগমে এরকম ঘটেনি কিন্তু বিএনপির সময় ১৪ নভেম্বর এ ঘটনা কীভাবে ঘটল?

চিঠিতে দাবি করা হয়, এই সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করা হযেছে। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় ৪৭২ জন নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করেছে। ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৩৮ জন নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চিঠির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির চরম বিঘ্ন সৃষ্টি, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দাযের সরাসরি ইন্ধন যুগিয়েছে।

এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন সচিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ  কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনো উপপুলিশ কমিশনার এবং উদ্দেশ্যমূলক জারিকৃত পত্রের স্বাক্ষরকারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত আইনের আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হব।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ নভেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়