ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘খনা’ নিয়ে ভারতে বটতলা

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘খনা’ নিয়ে ভারতে বটতলা

বিনোদন ডেস্ক : আগামীকাল শুক্রবার ভারতের জলপাইগুড়িতে শুরু হবে ‘জলপাইগুড়ি কলাকুশলী নাট্যোৎসব ২০১৯’। তিন দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসবের প্রথম দিন রবীন্দ্রভবন মঞ্চে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের নাটকের দল বটতলার নন্দিত নাটক ‘খনা’। এ উৎসবে অংশ নিতে গতকাল বুধবার বটতলার ১৮ সদস্যের একটি দল ভারতে গিয়েছে।

‘খনা’ নাটকটি রচনা করেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী হায়দার জানান, এ নাটকে খনা এক বিদুষী যার অন্য নাম লীলাবতী। তার গল্পটা অনেক পুরোনো, কিংবদন্তির ঘেরাটোপে বন্দী। তবু যতটুকু তল খুঁজে পাওয়া যায়, তাতে বোধহয় যে তিনি এক বিদুষী জ্যোতিষী, স্বামী মিহিরও একই বৃত্তিধারী। শ্বশুর যশস্বী জ্যোতিষী বরাহ মিহির। পুত্রজায়ার যশ, খ্যাতি ও বিদ্যার প্রভাব দর্শনে বরাহের হীনমন্যতা ও ঈর্ষা। শ্বশুরের নির্দেশে লীলাবতীর জিহ্বা কর্তন ও তার ‘খনা’ হয়ে ওঠার গল্প পেরিয়েছে প্রজন্মের সীমানা।
 


খনার বচনের মাঝে টিকে থাকা শত বছর আগের জল, মাটি, ফসল আর মানুষের গন্ধ মাখা জ্ঞান আর সত্যটুকু কি সত্যি লীলাবতীর? নাকি এ সত্য-তথ্য সবই এ ভূ-খন্ডের বৃষ্টি, পলি, আর জল হাওয়ার সঙ্গে মিশে থাকা যুগান্তরের সামষ্ঠিক জ্ঞানের সংকলন? লীলাবতী শুধুই কি একজন নারী বলে তার পরিণতি নির্মম, নাকি তিনি নারী হয়ে মিশেছিলেন চাষাভুষোর সনে; সেই তার কাল? পুরুষতন্ত্র না শ্রেণি কাঠামো; নাকি উভয় দাঁড়ায় লীলাবতীর বিপ্রতীপে? মিহির বা প্রাকৃত লোকালয় কারোর পরোয়া না করা জীবন ত্যাগী নেশার ঘোর তাকে নিয়ে যায় দিগন্তের ওপার। খনার সত্য শুধু থেকে যায় কৃষকের মুখে। তবু প্রশ্ন থাকে, খনার সত্যই কি একক সত্য? নাকি আজকে নির্ভুল যা কাল তা হতে পারে অসত্য? শুধু সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর যে মৃত্যুনেশা তার সে নেশা কি এক রোখা জেদ? খনা নিজেই নিজেকে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন করেন।
 


নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন  কাজী রোকসানা রুমা, সামিনা লুৎফা নিত্রা, মোহাম্মদ আলী হায়দার, ইভান রিয়াজ, তৌফিক হাসান ভূঁইয়া, শেউতি শাহগুফতা, মিজানুর রহমান, চন্দন পাল, ম. সাঈদ, পঙ্কজ মজুমদার, অনন্ত হিল্লোল, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, বাকিরুল ইসলাম, নাফিউল ইসলাম, হাফিজা আক্তার ঝুমা ও সুমিত তেওয়ারি রানা।

নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায় থাকবেন আবু আউদ আশরাফী, সুর ও সংগীত পরিকল্পনা করবেন শারমিন ইতি, অনন্ত হিল্লোল, লোচন, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, শেউতি শাহগুফতা, বাকিরুল ইসলাম। পোশাক পরিকল্পনায় তাহমিনা সুলতানা মৌ ও তৌফিক হাসান ভূঁইয়া। কোরিওগ্রাফি করবেন মোহামদ রাফি ও নাসির উদ্দিন নাদিম। প্রপস হুমায়রা আখতার। পোস্টার তৌহিন হাসান।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৯/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়