বিএনপির লেজেগোবরে অবস্থা : কাদের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা ‘বেপরোয়া ড্রাইভের মতো’ আচরণ করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এজন্যই দলটির অবস্থা এখন লেজেগোবরে।
বৃস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় সমাবেশ প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাদের দেখে মাঝে মাঝে ভয় হয় বেপরোয়া ড্রাইভার যেমন দুর্ঘটনার কারণ রাজনীতিতেও দুর্ঘটনার কারণ। ফখরুল সাহেবের ইদানিংকালের আচার আচরণ দেখে তাকে এতটাই ভয়ঙ্কর ব্যাপার, ড্রাইভার মনে হচ্ছে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের কথাবার্তাও একই সুরের ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে।’
‘আমরা খুব ধৈর্যের সাথে বিষয়টিকে দেখছি। আমরা অতি সহিষ্ণুতার সাথে বিষয়টি দেখছি কেননা তাদের হেরে যাওয়ার একটি বেদনা আছে, কষ্ট আছে। সেই কষ্ট থেকেই তারা বেপরোয়া হতে পারে কিন্তু আমরা সরকারি দল আমরা দেশ চালাচ্ছি আমাদের একটি দায়িত্ব আছে’, বলেন সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি, গণফোরাম নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে গড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ভাঙনের সুর বাজছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
১৪ দলের শরিকরা বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করলে তাদের এবং সরকারের জন্যও ভালো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তো বিরোধীদলে থাকবেন বলে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংসদে তারা বিরোধীদলের আসনে বসলে এবং দায়িত্বশীল বিরোধিতা যদি করেন সেটা সরকারের জন্য ভালো এবং তাদের জন্য ভালো।’
তিনি বলেন, ১৪ দলীয় ঐক্যজোট একটি রাজনৈতিক জোট। নির্বাচনী জোট আর রাজনৈতিক জোট এটা ভিন্ন বিষয়। ১৪ দলের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক জোটের সম্পর্ক। মহাজোট নামের যে বৃহত্তর সেটা কিন্তু নির্বাচনী ঐক্যজোট। যেহেতু ১৪ দলের সাথে আমাদের সম্পর্ক সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক জোটের কাজেই তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকবেই।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তারা যদি সংসদে বিরোধীদলের আসনে বসে এবং বিরোধীদল বিরোধী কণ্ঠ যত কনস্ট্রাকটিভ হয়ে পার্লামেন্টে থাকবে ততই সরকারি দল কোনো ভুল করলে সে ভুলটা সংশোধন করতে পারবে। কারণ বিরোধীদল না থাকলে তো একতরফা কাজ চলবে। বিরোধীদল থাকলে বিরোধিতা থেকে সরকারের কিছু শিক্ষনীয় বিষয় থাকবে। সমালোচনা থেকে শুদ্ধ হতে পারবে সমালোচনায় তো মানুষকে শুদ্ধ করে সমালোচনা থেকে যদি কোনো ভুল হয় তাহলে সে ভুল শুদ্ধ করতে পারবে।
বিজয় সমাবেশ জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে ছুটির দিনে সমাবেশ করা হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। একদিন বাকি। আমাদের বিজয় উপলক্ষে মঞ্চ সাজসজ্জা প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন শাখা এবং পার্টির নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত। একটি বিশাল বিজয় সমাবেশ হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশাল বিজয়ের পরে আমরা সেভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করিনি। আমরা উৎসব আমাদের নেত্রীর নির্দেশে পরিহার করে চলেছি। আমাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যাতে করে কোনো প্রতিহিংসার বিষয় না আসে সেজন্য আমরা আমাদের নেত্রীর নির্দেশ আমাদের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য এবং সংযম প্রদর্শন করেছি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ বিজয় উৎসবটি পালন করতে যাচ্ছি।’
‘বিশাল একটা বিজয়ের সাথে বিশাল একটা দায়িত্ব আমাদের আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের নেত্রী আগামী শনিবার জনগণের উদ্দেশ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমাদের দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন’, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৯/রেজা/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন