ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী খুন, উত্তেজিত জনতার হাতে পুলিশ লাঞ্ছিত

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী খুন, উত্তেজিত জনতার হাতে পুলিশ লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাটি ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাউদপুর এমএবি ইটভাটার পাশের একটি ঘর থেকে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ  ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  তিন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) আব্দুল হক জানান, নিহত রফিকুল ইসলাম দাউদপুর ইউনিয়নের দেলদুয়ার এলাকার শাহজাহান সিরাজের ছেলে। সে এলাকায় মুদি দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন ইটের ভাটায় মাটি সরবরাহের ব্যবসা করতো।

নিহত রফিকুল ইসলামের বাবা শাহজাহান সিরাজ জানান, সোমবার সন্ধ্যায়  ইটভাটায় দেওয়া মাটির বকেয়া টাকা তুলেতে বাসা থেকে বের হয় রফিকুল ইসলাম। রাতে আর  সেবাসায় ফেরেনি। সকালে দাউদপুরের এমএবি ইটভাটার পাশের  একটি ঘরের ভেতর  থেকে লাশ উদ্ধার করে।

তিনি জানান, নিহত রফিকুল ইসলাম সব সময় একটি বড় তোয়ালে ব্যবহার করতো। তার গলায় সেই তোয়ালেটি প্যাঁচানো ছিলো।

শাহজাহান সিরাজ অভিযোগ করেন, রূপগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হক,  এসআই রহুল আমিন ও এএসআই রিয়াজসহ পুলিশের লোকজন  তড়িঘরি করে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চায় এবং তিন আসামিকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে দ্রুত নিয়ে যায়। এতে নিহতের স্বজন  ও এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে । তারা প্রশ্ন করলে পুলিশ জবাব না দিয়ে দ্রুত লাশ ও আসামিদের নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। এসময়  উত্তেজিত জনতা এএসআই রিয়াজ ও কনস্টেবল  সফিকে আটক করে কিলঘুষি মেরে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। এসময় তাদের ছাড়াতে গিয়ে স্থানীয় মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন জয়সহ বেশ কয়েজন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তেজিত জনতা বেলদী বাজারে ধাওয়া করে পুলিশের লাশবাহী গাড়ি আটকায় । এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকাঁগুলি ছুড়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে লাশ নিয়ে চলে যায়। পরে ভোলাবো ফাড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম উত্তেজিত লোকজনকে বুঝিয়ে শান্ত করে দুই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন শ্রমিক জাহাঙ্গীর , টিটু ও মোতালেবকে আটক করা হয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হক দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করে  আটকে রাখা ও ফাকাঁ গুলির  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বজন হারানো লোকজন আবেগপ্রবন হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এসময় তারা পুলিশকে ধাওয়া দেয়।

তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে রফিকুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কারা কী কারনে রফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান উল রাকিব/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়