ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২১ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘সদ্য হয়ে যাওয়া উপজেলার চার ধাপের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রশাসন ও পুলিশ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না? নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার কারণে অনেক সংসদ সদস্যকে অনেকবার চিঠি দিতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে - এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘না এখান থেকে তো দেওয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন এবং এই বার্তাটি সবার কাছে চলে গেছে যে, প্রশাসন ও পুলিশ এরা কেউই নির্বাচনে কোনো প্রভাব তো খাটাবেই না এবং তারা একেবারে নিরপেক্ষভাবে পক্ষপাতহীনভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে।  এই কাজটি তারা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেজন্য সন্তুষ্ট।’

যে সকল সংসদ সসদ্য নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট চেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  দুটি বিষয় আছে এখানে। একটি হলো নির্বাচনী আইন যদি কেউ ভঙ্গ করে থাকেন, সেটাতো নির্বাচন কমিশন আমাদের অনেককেই এমনকি দুই-একজন মন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এমপিদের অনেককেও সতর্ক করে দিয়েছেন।  এটা নির্বাচনী আইন ভঙ্গের জন্য।  আর দ্বিতীয়টি দলের পক্ষ থেকে।  একজন নৌকার প্রার্থী হলেও আবার একইসঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, অন্যরাও নির্বাচন করতে পারেন। এটা কীভাবে নেবেন, দলে আলোচনা হয়েছে।  দলের অনেকের কাছে হয়তো ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করলাম।  বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানসহ প্রচলিত সকল আইন ও বিধি-বিধানের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। ’

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত সাংবিধানিক রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে সকল রাজনৈতিক দলের জবাবদিহিতা রয়েছে। আরপিও অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসেব দাখিল করতে হয়।  সকল সংসদীয় আসনের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এই হিসেব দাখিল করার বিধান রয়েছে।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ব্যয় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছি।  দলের প্রার্থীরা আইনের বিধান মতে ইতিমধ্যে স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেছেন।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে আমরা সম্পন্ন করে থাকি। এ সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ পুরোপুরি অনুসরণ করেই রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যয়সহ সকল কার্যাদি আমরা সম্পন্ন করে থাকি।’

কত টাকা ব্যয়ের হিসাব জমা দিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি।  এটা পাবলিক ডকুমেন্ট তাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।  ইসির ওয়েবসাইটেই পেয়ে যাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০১৪ সালে নির্বাচনী ব্যয় কিছুটা বেড়েছিল। প্রতিবারই খরচ আরো বাড়েই।  এবারে আমাদের একটি জিনিস উল্লেখযোগ্য- অন্যান্য বছর আমরা অনেক সময় যে সমস্ত প্রার্থীরা আমাদের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের অনেককেই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  এবার আর সেটি করা হয়নি।  সেদিক থেকে আমাদের ব্যয় কম।  এবার আমরা আয় পেয়েছি বেশি।  অনেকেই অনুদান দিয়েছেন।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ এপ্রিল ২০১৯/হাসিবুল/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়