ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ছাত্রলীগের মারামারি সামান্য ঘটনা : হানিফ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৪ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছাত্রলীগের মারামারি সামান্য ঘটনা : হানিফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মারামারি ‘সামান্য ঘটনা’ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এ ঘটনা নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। যে সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আছেন। এমন একটি সংগঠন যার হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আছে। তাদের মধ্যে যোগ্য নেতারা সকলে পদ-পদবীর প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ-পদবী দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই সুযোগও হয় না।’

‘কারণ, পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পরে সকলে যখন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হয় না তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে অষন্তোষ সৃষ্টি হয়। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা যায়। আর যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়ত ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এছাড়া, ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন, বড় পদ পাবেন, সেটা হয়ত পাননি। তারা হয়ত অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।’

মধুর ক্যান্টিনের মারামারির বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে আমার মনে হয় যে, খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই। আমরা আশা করি, সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তারা এটা ঠিক করতে পারবেন এবং তারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সংগঠনের কাজ করবেন।’

আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনকে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলন আশা করছি যথাসময়ে অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে। আমাদের সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করতে পারব। পাশাপাশি আমাদের যেসব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন আছে, যেসব সংগঠনের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকেও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য আমাদের সভা থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মাঝে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারবে। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

‘ঈদের পর ডিজিটাল ডাটাবেজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সারা দেশের সংগঠনের দপ্তর সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।’

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে থাকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো জানান, ‘১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।


 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মে ২০১৯/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়