ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট, বাড়ছে জাহাজের ভিড়

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ১০ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট, বাড়ছে জাহাজের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে সৃষ্টি হয়েছে কন্টেইনার জটের। ফলে বন্দর জেটি এবং সমুদ্রের বহিঃনোঙ্গরে কন্টেইনার খালাস করার অপেক্ষায় রয়েছে ২৯টি জাহাজ।

এই জাহাজ ছাড়াও পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে পাথর, সিমেন্ট ক্লিংকার, খাদ্যশস্য, অয়েলসহ বিভিন্ন ধরনের খোলা পণ্যবাহী আরো ৬২টি জাহাজ।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- ঈদের বন্ধ, ঈদপূর্ব সমুদ্রের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি, কন্টেইনার পরিবাহী ট্রেন সঙ্কটসহ নানা ঘটনায় বন্দর থেকে কন্টেইনার খালাসে ধীরগতির কারণে বন্দর ইয়ার্ডে এই কন্টেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিস্থিতির জন্য জাহাজ থেকে পণ্য খালাসেও ধীরগতির কারণে সমুদ্রে পণ্য ও কন্টেইনার খালাসের জন্য অপেক্ষমান জাহাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দরে আমদানি পণ্যভর্তি সর্বমোট ৯২টি জাহাজ রয়েছে বন্দর জেটিতে এবং বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে। এই জাহাজগুলোর মধ্যে কন্টেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা ২৯টি। সাধারণ পণ্যবোঝাই জাহাজ ২৪টি, খাদ্যশস্য বহনকারী ৭টি, সার বহনকারী একটি, সিমেন্ট ক্লিংকার বহনকারী ২৩টি, চিনি বহনকারী ২টি এবং অয়েল ট্যাংকারবাহী জাহাজ রয়েছে ৬টি।

অপরদিকে বন্দর ইয়ার্ডে ৪১ হাজার ৭৩৯ টিইউএস পণ্যবোঝাই কন্টেইনার অপেক্ষমান আছে ডেলিভারির জন্য। কিন্তু বন্দরে কন্টেইনারের ধারণক্ষমতা ৩৭ হাজার ৬২০ টিইউএস। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ৪ হাজার কন্টেইনার রয়েছে বন্দরে। এর ফলে জট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী ১৮৩৪ টিইউএস কন্টেইনার ট্রেন সঙ্কটের কারনে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ডেলিভারি হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. এনামুল করিম কন্টেইনার জট এবং সমুদ্রে জাহাজ অপেক্ষমান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গতমাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং, জাহাজ থেকে পণ্য ও কন্টেইনার খালাস প্রায় ৭২ ঘন্টা বন্ধ ছিল। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও জাহাজ জট তৈরি হয়েছে। ঈদের ছুটির পর বন্দর এখন পুরোপুরি কর্মচঞ্চল। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কন্টেইনার জট কেটে যাবে এবং জাহাজ হতে পণ্য খালাসও গতি পাবে।

বন্দরে কন্টেইনার জটের আরো একটি কারণ উল্লেখ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০০ কন্টেইনার কমলাপুর ইয়ার্ডে পরিবহন করতো রেলওয়ের বিশেষ কন্টেইনারবাহী ট্রেন। বর্তমানে ট্রেন সংখ্যা কম হওয়ার কারণে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০-এর বেশি কন্টেইনার পরিবহন করতে পারছেনা রেলওয়ে। এতে বন্দরে জটের সৃষ্টি হচ্ছে কন্টেইনারের।




রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১০ জুন ২০১৯/রেজাউল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়