ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কন্টেইনার কোম্পানির কাজ শুরু হলে রেলের আয় বাড়বে

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কন্টেইনার কোম্পানির কাজ শুরু হলে রেলের আয় বাড়বে

সংসদ প্রতিবেদক : ‘কন্টেইনার কোম্পানি’ কার্যক্রম শুরু করলে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

সোমবার বিকেলে সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সদস্য রহিম উল্ল্যাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার একটি কন্টেইনার কোম্পানি গঠন করেছে। এ কোম্পানি কার্যক্রম শুরু করলে রেলওয়ের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে রেলওয়েতে মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি না করার ফলে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কারণ এ সময় জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি এবং সরকারি চাকরিজীবীদের কয়েক দফা বেতন বৃদ্ধির ফলে পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। এজন্য রেলওয়েতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ভাড়া যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে চলমান বাজার মূল্যের সঙ্গে রেলওয়ের ভাড়া সমন্বয় অব্যাহত রাখা হবে যাতে করে আয়-ব্যয়ের পার্থক্য অর্থাৎ লোকসান হ্রাস করা সম্ভব হয়।

নুরুল ইসলাম ওমরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহুমাত্রিক উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমান সরকার দেশের সিঙ্গেল লাইন রেলওয়ের সেকশনসমূহকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ডাবল লাইনে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দেশের গুরুপ্তপূর্ণ রেলওয়ে করিডোরগুলোকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের চলমান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ভবিষ্যতে অর্থায়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে মোট প্রায় ৩৪৭ কিমি ডাবল লাইন বিদ্যমান আছে বলেও জানান তিনি।

সোহরাব উদ্দিনের অপর প্রশ্নোত্তরে মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি রোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের ওপর যাত্রীর বয়স ও জেন্ডার উল্লেখ করা হচ্ছে। টিকেটের ওপর যাত্রীর নাম লেখার বিষয়টি পরীক্ষাধীন পর্যায়ে রয়েছে।

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নোত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, ব্রিজের মূল অবকাঠামোতে কখনই বাঁশ ব্যবহার হয় না। ট্রেন চলাচললের ফলে কোনো কোনো স্লিপার আঁকা-বাঁকা হয়ে যাওয়া রোধকল্পে স্থানীয়ভাবে রেল কর্মচারীরা বাঁশ ব্যবহার করতে পারেন, তা বিপজ্জনক নয়। কারণ ওই ব্যবহৃত বাঁশ কোনো্রূপ ভার বহন করে না।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নৃপেন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়