ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মা-ছেলে হত্যা : স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী রিমান্ডে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৩ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মা-ছেলে হত্যা : স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার নিহতের স্বামী আব্দুল করিম ও করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তার ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আলী হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২৮ বছর আগে শামসুন্নাহারের সঙ্গে আব্দুল করিমের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। এরপর আব্দুল করিম জনৈক ফরিদাকে বিয়ে করেন। ওই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে করিম মুক্তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেন। এরপর থেকে করিম তার প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহারের কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না। কারণে-অকারণে তাকে মারধর করাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। গত ৩/৪ মাস আগে আসামি মুক্তা শামসুন্নাহারের বাসায় গিয়ে তাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ এমন চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস খুনের মূল রহস্য উদঘাটন, খুনিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা পূর্বক গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষে মো. হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, এটা একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আব্দুল করিম বহু বিবাহে আসক্ত। তাদের কিভাবে খুন করা হলো, ভাড়াটিয়া খুনি-সন্ত্রাসীদের নিয়ে খুন করা হয়েছে কি না তা জানার জন্য দশদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

আসামিপক্ষে মেহেদী হাসান এবং ফখরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। তারা বলেন, এটা একটা নৃশংস ঘটনা। এজন্য আমরা সবাই দুঃখিত। আমরা চাই অপরাধীদের সাজা হোক। তবে কোনো নিরাপরাধ লোক যেন সাজা না পান। ঘটনার সময় আব্দুল করিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাছাড়া তিনি অসুস্থ। যেহেতু মামলার তদন্ত চলছে। সেক্ষেত্রে যদি তাদের জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। শুক্রবার মামলার এজাহার আদালতে এলে আদালত তা গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা (নং-১) দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

গত বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আরো পড়ুন :
                 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ নভেম্বর ২০১৭/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়