‘আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে গ্রেপ্তার কেন অবৈধ নয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক : আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলন ও মিজানুর রহমান রাজকে অসৌজন্যমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা কেন বেআইনি হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদলের এ চার নেতাকে গ্রেপ্তারে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের আপিল বিভাগের একটি রায় আছে। কিভাবে গ্রেপ্তার করতে হবে, রিমান্ডে নেওয়ার ব্যাপারে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেটা সকলের প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক। খুবই পরিচ্ছন্ন এবং সুদূরপ্রসারী রায়। আদালতে তাদের গ্রেপ্তারের পর খবরের কাগজ দিয়েছি, কিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে এটা আইন ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আদালত আমাদের রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন। আগামী ১ আগস্ট পরবর্তী শুনানি হবে।’
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রমনা জোনের পুলিশের উপকমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত কমিশনার, দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার, পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারসহ ১৪ বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে ৬ মার্চ, ছাত্রদলের ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমানকে ৮ মার্চ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে ৬ মার্চ সাদা পোশোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিলনকে শাহবাগ থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু মিলনের পরিবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেনি। পরে ১২ মার্চ জানতে পারেন মিলনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৮/মেহেদী/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন