ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জুনায়েদের সেঞ্চুরি, আবাহনীর তিনে তিন

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩০, ২০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জুনায়েদের সেঞ্চুরি, আবাহনীর তিনে তিন

জুনায়েদ সিদ্দিকের সেঞ্চুরি উদযাপন। কিন্তু সেঞ্চুরিটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মামুন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : আগের ম্যাচে ফতুল্লায় ৮৭ করে আউট হয়েছিলেন। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপটা আজ ফতুল্লাতেই দূর করলেন জুনায়েদ সিদ্দিক। কিন্তু সেঞ্চুরিটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তার দল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩২ রানে হারিয়েছে আবাহনী।

টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী জিতল প্রথম তিন ম্যাচেই, অর্থাৎ তিনে তিন! আর ব্রাদার্সের পরাজয়ের মালাটা আরো দীর্ঘ হলো, হারল প্রথম তিন ম্যাচেই।

আবাহনী প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা দুই দল খেলাঘর ও পারটেক্সকে। সেই অর্থে আজই প্রথম পরীক্ষার মুখে পড়ে তারা। তবে সেই পরীক্ষায় সফল আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা। কমপক্ষে ৪৮ রান করেছেন ওপরের দিকের চার ব্যাটসম্যানই। এর মধ্যে ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কউল মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন।



ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার কউল ও লিটন দাস ১৭ ওভারে তোলেন ৯৬ রান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লিটনকে (৪৯ বলে ৪৮) এলবিডব্লিউ করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অলক কাপালি। তবে কউল দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৮৮ রানের আরেকটি বড় জুটি। ৫৬ বলে ২টি করে চার, ছক্কায় ৪৯ রান করে ওই কাপালির বলেই আউট হয়েছেন নাজমুল।

কউল অবশ্য সেঞ্চুরি দিকেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ৬ রানের জন্য পারেননি। কাজী কামরুল ইসলামের বলে দ্বাদশ খেলোয়াড় মোহাম্মদ সাদ্দামকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২৯ বলে ৫ চারে ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তবে আবাহনীর সংগ্রহটা তিনশ পেরিয়েছে মূলত শুভাগত হোমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে।

শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করেন শুভাগত। প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি করা আবাহনী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট হেসেছে আজও। ৪২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ৩২৭।



বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্রাদার্সের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বল এলবিডব্লিউ হয়ে যান রুমান আহমেদ। ব্রাদার্স শুরুর ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠে দ্বিতীয় উইকেটে জুনায়েদ ও মিজানুর রহমানের ৮৬ রানের জুটিতে। মিজানুরকে (৪২) এলবিডব্লিউ করে এ জুটি ভাঙেন শুভাগত।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ফরহাদ হোসেনের (২৬) সঙ্গে ৪৪ ও চতুর্থ উইকেটে মাইশুকুর রহমানের (২৮) সঙ্গে ৬১ রানের দুটি জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন জুনায়েদ। ৩৪ ওভারে ব্রাদার্সের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৯৪। কিন্তু এরপরই ১৭ রানের মধ্যে তিন ৩ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় তারা। অধিনায়ক কাপালি করেছেন ৬। তাপস ঘোষ মেরেছেন ডাক।



জুনায়েদ অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তখনো আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু দলের ২২৬ রানে তিনি সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেলে ব্রাদার্সও ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। ১১২ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পঞ্চম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান।

জুনায়েদের বিদায়ের পর নিহাদুজ্জামানের ৩২ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটি কেবল ব্রাদার্সের পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে। ৫০ ওভারে ব্রাদার্স ৮ উইকেটে করতে পারে ২৯৫। ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৪৪ রানের পর বোলিংয়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেট, ম্যাচসেরা হয়েছেন তাই শুভাগত হোম।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ এপ্রিল ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়