ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দুর্দান্ত জয়ে সুপার লিগে শেখ জামাল

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২১ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুর্দান্ত জয়ে সুপার লিগে শেখ জামাল

জয়ের পর শেখ জামালের খেলোয়াড়দের উল্লাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সুপার লিগে খেলতে হলে একে তো জয়ের বিকল্প ছিল না, তারমধ্যে আবার সামনে পাহাড়সম ৩৪০ রানের লক্ষ্য। পারবে তো শেখ জামাল? দলটি শেষ পর্যন্ত পেরেছে। মোহামেডানের বিপক্ষে দুই বল বাকি থাকতে ১ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে রাজিন সালেহর দল।

মোহামেডান আজ জিতলে লাভ হতো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। আজকের ম্যাচের আগে তিন দলেরই পয়েন্ট ছিল সমান ১২। মুখোমুখি লড়াইয়ে শেখ জামালকে হারিয়েছিল রূপগঞ্জ। আজ মোহামেডান জিতলে তাই তাদের সঙ্গে সুপার লিগে উঠে যেত রূপগঞ্জও। কিন্তু রূপগঞ্জের স্বপ্ন পূরণ হলো না। মোহামেডান অবশ্য হেরেও সুপার লিগে উঠেছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে মোহামেডান যে রূপগঞ্জকে হারিয়েছিল।

৩৪০ রান তাড়া করে জিততে শেখ জামালের ব্যাটসম্যানদের অসাধারণ কিছুই করে দেখাতে হতো। সেই কাজটাই করেছেন প্রশান্ত চোপড়া, সোহাগ গাজী, তানভীর হায়দার, ইলিয়াস সানীরা। চোপড়া ৬০ বলে ৮৬ ও সোহাগ ৬৪ বলে ৮৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। তানভীর করেছেন ৭২ বলে ৭৭। ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে তুলির শেষ আঁচর দিয়েছেন সানী।

রোববার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বড় লক্ষ্য তাড়ায় শেখ জামাল পায় উড়ন্ত সূচনা। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও চোপড়া উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ বলে যোগ করেন ৫৮ রান। অবশ্য তাইজুল ইসলামের তিন বলের ব্যবধানে ফিরে যান রাব্বি (২৮) ও তিনে নামা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এরপর চোপড়া আর সোহাগ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। দুজন তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে গড়েছেন ৯৬ রানের জুটি।  সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল চোপড়ার সামনে। কিন্তু ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৬ রান করে আউট হয়ে যান ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান।



এরপর দ্রুত অধিনায়ক রাজিন ও জিয়াউর রহমান ফিরে গিয়ে দলকে বিপদে ঠেলেছেন। তবে সোহাগ দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। ৬৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সোহাগ যখন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরলেন, তখনো জয়ের জন্য ১০৭ রান প্রয়োজন দলের।

সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে সানীকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের বড় জুটিতে দলকে টেনেছেন তানভীর। ৪ উইকেট হাতে রেখে ৩০ বলে প্রয়োজন যখন ২৮ রান, শেখ জামালের জয়টা তখন হাতের নাগালেই মনে হচ্ছিল।  কিন্তু ৭ রানের মধ্যে পরপর দুই বলে তানভীর-মাহমুদুল হক, ৪৮তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে নুরউদ্দিন ফিরে গেলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় শেখ জামালের। তখনো প্রয়োজন ১৩ রান!

আগের ম্যাচে শেষ দিকে অপরাজিত ৪৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শেখ জামালকে এক বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় এনে দিয়েছিলেন স্পিনার সানী। আজও পারবেন সানী? সানী পারলেন, ৪৯তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে মারলেন গুরুত্বপূর্ণ এক চার। শেষ ওভারে চাই ৩, চতুর্থ বলে এনামুল হক জুনিয়রকে চার মেরে জয় এনে দিলেন এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন। ৪৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত সানী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শামসুর রহমান ও রনি তালুকদারের দুটি সেঞ্চুরি মোহামেডানকে এনে দিয়েছিল বড় সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান তুলেছিল মোহামেডান। ১৫২ বলে ৭টি করে চার ও ছক্কায় ১৪৪ রান করা শামসুর জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১০ রান রনির। কিন্তু বৃথা গেল তাদের দুটি সেঞ্চুরিই!



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়