ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

৬২’র চেয়েও বেশি হারাবে ভারত : চীন

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ৫ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৬২’র চেয়েও বেশি হারাবে ভারত : চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, নির্লজ্জ ভারতকে অবশ্যই উচিত শিক্ষা দিতে হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এখন যদি যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ১৯৬২-এর চেয়েও বেশি কিছু হারাবে ভারত। উল্লেখ্য, ওই সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল।

গ্লোবাল টাইমসের বুধবারের সম্পাদকীয়তে ভারতকে কঠোর ভাষায় শাসানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের উসকানিতে চীনারা ক্ষুব্ধ হচ্ছে। কিন্তু ভারতের সামরিক শক্তি নিয়ে তারা বিতশ্রদ্ধ। প্রসঙ্গত, চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য দেশটির সরকারের বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

চীন অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে নির্লজ্জভাবে হাজির হচ্ছে ভারত এবং ভুটানকে চাপে রেখে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনায় শামিল করছে।

গত সপ্তাহে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি চীনের উদ্দেশে বলেন, ১৯৬২ থেকে ভারত এখন আলাদা। এর জবাবে চীনও বলেছে, ভারতের মতো চীনও এখন আলাদা। অরুণ জেটলির মন্তব্যের পর চীনের গণমাধ্যম পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারের সম্পাদকীয়তে ভারতকে একহাত নিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।

ভারতের বিরুদ্ধে চীনের নতুন অভিযোগ- জনগণকে ভুল পথে চালিত করছে ভারতীয় সরকার। তারা জনগণকে বলছে, সিকিম সীমান্তের কানঘেঁষে চীন যে সড়ক নির্মাণ করছে, তাতে ওই এলাকায় ভারতের প্রবেশ বিপদসংকুল হয়ে উঠবে। এ অঞ্চল দিয়ে ভারত তার উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ করে।

এর ব্যাখ্যায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেখানে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, সেই এলাকা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ-চীনা চুক্তি অনুযায়ী চীনের সার্বভৌম এলাকা। এ এলাকা ওই সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ ছিল এবং ব্রিটেনের সঙ্গে চীনের চুক্তি অনুযায়ী সেখানকার সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছে।

চীনের অভিযোগ, ভারতীয় সেনারা তাদের সীমানায় ঢুকে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু ভারত ও ভুটানের দাবি, সেনাদের অবস্থান নেওয়া ওই এলাকা ভুটানের।

একদিকে সিকিম সীমান্তের কাছে চীনের সড়ক নির্মাণ নিয়ে ভারতের অভিযোগ, অন্যদিকে চীনের অভিযোগ মতে, ভারতীয় সেনাদের চীনের মধ্যে অবস্থান গ্রহণ- পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও কথার তুবড়িতে সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে অর্থনীতি ও সামিরক শক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে ভারত ও চীন। এ অবস্থায় বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি অনলাইন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জুলাই ২০১৭/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়