ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাজশাহী ও অলস্টারস যৌথ চ্যাম্পিয়ন

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৯ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহী ও অলস্টারস যৌথ চ্যাম্পিয়ন

ট্রফি নিয়ে দুই দলের উল্লাস (ছবি : আব্দুল্লাহ আল মামুন)

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কক্সবাজার থেকে : ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের দ্বিতীয় আসরে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একমি রাজশাহী মাস্টার্স ও এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্স। বৃষ্টির কারণে তাদের যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

শনিবার সকালটি দেখে কেউ কি চিন্তা করতে পেরেছিল ফাইনালের সমাপ্তিটা এভাবে বৃষ্টির জলে ভিজে ম্যারমেরে হয়ে যাবে? হয়তো চিন্তা করেনি। রোদ মাথায় নিয়ে যখন এক্সপো অলস্টারস ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রান সংগ্রহ করল তখনও দর্শকদের মনে হয়েছিল একটি লড়াকু ফাইনাল হতে যাচ্ছে। হয়তো কিছু নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে। যা ক্রিকেটের সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বেসরিক বৃষ্টিতে সব আশা-আকাঙ্খা আর নাটকীয়তাকে ভিজিয়ে দিয়ে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন করে দিল রাজশাহী ও অলস্টারসকে। এখানে মাঠে ‍দুই দলের পাশাপাশি বৃষ্টিও খেলল এবং বড় রকমের ভূমিকা রাখল ফাইনালে। বৃষ্টি না আসলে দুই দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকত না।  



তবে আক্ষেপ নিয়ে কেউ বাড়ি ফেরেনি। উভয় দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আগের আসরে টাইটান্স খুলনা মাস্টার্সের কাছে হেরে যাওয়া অলস্টারসও নিজেদের চ্যাম্পিয়ন দাবি করতে পারছে। আবার এই আসরে দুর্দান্ত খেলা রাজশাহী মাস্টার্সও চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মেখে বাড়ি ফিরছে।

তবে পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন অলস্টারসের এহসানুল হক সেজান। তার ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তার বয়স হয়েছে। চার ম্যাচে দুটি অর্ধশতকসহ (০+৭৬+৬৪+২৪) ১৬৪ রান করে সিরিজ সেরা হন এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্সের এই ব্যাটসম্যান। আর ফাইনালে ম্যাচসেরা হন অলস্টারসের রাশিদুল হক সুমন। আজ তিনি ৫৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন।

তাদের হাতে ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার ও দুই দলের হাতে ট্রফি এবং মেডেল তুলে দেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম এন্ড এডমিন) এসএম জাহিদ হাসান, বিসিবির পরিচালক নাইমুর রহমান দূর্জয়, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর (ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিমসহ অন্যান্যরা।

শনিবার সকালে ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্স। ১৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার আগেই বৃষ্টি এসে হানা দেয়। বৃষ্টিতে সোয়া এক ঘণ্টা (সকাল ১১.৫০ থেকে দুপুর ১.০৫) খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। ২.১ ওভার খেলা হওয়ার পর আবারো বৃষ্টি এসে হানা দেয়। এই বৃষ্টি থেমে থেমে চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির বাগড়ায় যৌথভাবে রাজশাহী ও অলস্টারসকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।



বৃষ্টির আগ পর্যন্ত খালেদ মাসুদ পাইলটের একমি রাজশাহী মাস্টার্সের সংগ্রহ ছিল ২.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২১ রান।

তার আগে সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৪ রান তোলেন মেহরাব হোসেন অপি ও এহসানুল হক সেজান। এরপর অপি ব্যক্তিগত ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মাত্র ১৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে সেজান  ও রাশিদুল হক সুমন দলীয় স্কোরকে ৭৬ রান পর্যন্ত টেনে নেন। এই রানে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হওয়া সেজান। ৮১ রানের মাথায় ফিরে যান জহিরুল হক খান রাশেদ।

তিনি ফিরে যাওয়ার পর অবিচ্ছিন্ন থেকে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রান তোলেন রাশিদুল হক সুমন ও মাসুদুর রহমান মুকুল। তাতে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় অলস্টারস। সুমন ৪২ বলে ৫৮ রান করেন। তার এই ইনিংসে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার মার ছিল। আর মুকুল ৯ বলে ২ ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।



এক্সপো অলস্টারসের যে ৩টি উইকেটের পতন ঘটেছে তার ১টি নেন মঞ্জুরুল ইসলাম, আর একটি নিয়েছেন আলমগীর কবির। অপর উইকেটটি আসে রান আউটের খাত থেকে।

গ্রুপপর্বে একই গ্রুপে ছিল রাজশাহী ও অলস্টারস। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেই ম্যাচে অবশ্য ৪৫ রানে হার মেনেছিল এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্স। 

একমি রাজশাহী মাস্টার্সের স্কোয়াড :
ওমর খালিদ রুমি (মেন্টর), খালেদ মাসুদ পাইলট (অধিনায়ক), আব্দুল হান্নান সরকার, আলমগীর কবির, মো. রাকিফুল ইসলাম খান, জাভেদ ওমর বেলিম, শেখ গোলাম মোস্তফা, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মাহমুদুল হাসান রানা, মো. রাশেদুজ্জামান, আলী আরমান রাজন, তারেকুল ইসলাম তারেক, গাজী আলমগীর. ইমতিয়াজ মোহাম্মদ পলাশ ও এজেডএম শাফায়াতুল কিরণ।

এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্সের স্কোয়াড:
আশফাকুর রহিম (মেন্টর), হাসিবুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাসুদুর রহমান মুকুল, তালহা যুবায়ের, মো. আসাদুল্লাহ খান বিল্পব, মো. এহসানুল হক সেজান, রাশিদুল হক সুমন, মেহরাব হোসেন অপি, মোর্শেদ আলী খান সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, নিয়াজ মোর্শেদ নাহিদ, জহিরুল হক খান রাশেদ, সোহেল হোসেন পাপ্পু, মো. নুরুজ্জামান তুহিন, বাকি বিল্লাহ হিমেল।





রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২৯ জুলাই ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়