সিলেট সিটির পানি গ্রাহকদের সাত দিনের সময়
নোমান || রাইজিংবিডি.কম
সিলেট সংবাদদাতা: সিলেট সিটি করপোরেশনে পানির বকেয়া বিল পরিশোধে গ্রাহকদের ও পানির লাইনে অবৈধ সংযোগ দিয়ে পানি উত্তোলনকারীদের সাত দিনের সময় দিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
জানা যায়, সিলেট নগরে বৈধ গ্রাহকদের কাছেই পানির বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। বার বার নোটিশ প্রদান সত্বেও বিল পরিশোধ করছেন না আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের খেলাপি গ্রাহকরা। এছাড়া অবৈধ সংযোগ নিয়েও অনেক গ্রাহক পানি তুলছেন নিজের ঘরে। একই সাথে মেইন লাইন থেকে সরাসরি শক্তিশালী মোটরের সাহায্যে পানি ঘরে তোলার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।
পানি নিয়ে এমন অভিযোগে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই শনিবার নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবনে হানা দেন। এসময় তিনি অবৈধ সংযোগের প্রমাণও পান। জব্দ করে নিয়ে আসেন ৫টি মোটরও।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সে সব ঘটনা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, ‘কতিপয় লোকের কারণে সাধারণ গ্রাহকরা পানি পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এরা অবৈধ সংযোগ দিয়ে পানি ঘরে তুলে নিচ্ছেন। যা সিটি করপোরেশন জানে না। রাতের আঁধারে অসাধু চক্রের যোগসাজশে রাস্তা কেটে মেইন লাইনের সঙ্গে মোটর লাগিয়ে এরা পানি হাতিয়ে নিচ্ছেন।’
এদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির মাধ্যমে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে বলেও জানান মেয়র। তবে তাদের শেষবারের মত একবার সুযোগ দিতে চান বলেও জানান তিনি। বলেন, নগরীতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সরকারি সব মিলিয়ে বৈধ সংযোগ রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি। এদের বেশির ভাগেরই পানির বিল বকেয়া রয়েছে। এর বাইরে কয়েক হাজার অবৈধ সংযোগও রয়েছে। তাদেরকে শেষ সুযোগ দিতে চাই। তারা যেন এমন ‘ব্যাড প্র্যাকটিস’ থেকে বের হয়ে আসেন।’
তিনি আবাসিকের পানির বিল বকেয়া খেলাপিদের উদ্দেশে বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে ৩০শতাংশ মওকুফ করা হবে। কেউ একধাপে দিতে না পারলে দুই ধাপে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এর পরে আর কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সরাসরি সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘এছাড়া যারা অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন তারাও সাতদিনের মধ্যে সংযোগ ফি পরিশোধ করে সিসিকের কাছ থেকে বৈধতা না নিলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া অবৈধ মোটর লাগিয়ে যারা পানি তুলছেন তাদের তিনদিনের মধ্যে মোটর সরিয়ে ফেলারও আহ্বান করেছেন তিনি।’
রাইজিংবিডি/সিলেট/৭ মে ২০১৮/নোমান/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন