ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শিশুর গলায় ইনফেকশন

ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৮ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশুর গলায় ইনফেকশন

প্রতীকী ছবি

ঝুমকি বসু : ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস গলায় বাসা বাঁধলে গলায় ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। গলায় ব্যথা, বিশেষ করে ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি-কাশি ও জ্বর।

গরম বেশি পড়লে ভাইরাস আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ রোদ আর ঘামে শিশুরা এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে শিশুর যদি ঠাণ্ডা পানি ও আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে ইনফেকশনের প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। এই রোগ সম্পর্কে ঢাকা শিশু হাসপাতালের প্রাক্তন একাডেমিক ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ খায়রুল আমিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ রোগের বিস্তারিত জানান।

* রোগ কীভাবে ছড়ায়

এই রোগের জীবাণু আমাদের চারপাশেই ঘুরে বেড়ায়। নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই বেশিরভাগ সময়েই জীবাণু শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে খুব সহজেই এই ইনফেকশন ছড়ায়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বিধায় বড়দের তুলনায় শিশুদের ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

* ইনফেকশন হলে কী হয়

গলায় ইনফেকশন হলে শিশুর খেতে অসুবিধা হয়। গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। সঙ্গে থাকতে পারে জ্বর ও গায়ে ব্যথা। অনেক সময় গ্ল্যান্ড ফুলে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গলায় ইনফেকশন থেকে পেটেও সমস্যা দেখা যেতে পারে।

* কী করবেন

শিশুকে এই সময় সার্বক্ষণিক নজরে রাখবেন। নির্দিষ্ট সময় পর পর শিশুর জ্বর মাপুন। গলায় অস্বস্তির কারণে এই সময় শিশুর বমি করার প্রবণতা থাকে। তাই একবারে বেশি না খাইয়ে বারে বারে অল্প অল্প খাবার খাওয়াবেন। স্যুপ, গরম দুধ বা এরকম কোনো উষ্ণ খাবার দিলে শিশু আরাম পাবে। সারাদিনে কতবার প্রস্রাব হচ্ছে তা খেয়াল করুন। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বুঝবেন শিশু পানি স্বল্পতায় ভুগছে। এই সময় তাই বেশি করে পানি পানের ওপর জোর দেওয়া হয়। না হলে শিশু ক্লান্ত হয়ে পড়বে। বমি যদি বেশি হয় তাহলে স্যালাইন, লেবুর শরবত খাওয়াতে পারেন। শিশু যদি নেতিয়ে না পড়ে তাহলে বাসাতেই চিকিৎসা করান। মনে রাখবেন এই সময় শিশুর বিশ্রাম খুব জরুরি। রোদে না বের হলেই ভালো। হালকা খাবার খাওয়াবেন। তেল-ঝাল বেশি দেবেন না। দুদিনে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

* প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

গলার ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য বাসায় যদি অন্য কারো ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে তাকে কয়েকদিন আলাদা ঘরে রাখুন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে শিশুর গলায় ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়বে না। শিশু আক্রান্ত হলে যদি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে অ্যান্টিবায়টিক দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কাশির জন্য কাশির সিরাপ দেওয়া হয়। আর জ্বর কমানোর জন্য দেওয়া হয় নাপা। তবে শিশুর যদি ইনফেকশন বুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে তাকে নেবুলাইজ করতে হতে পারে। মনে রাখবেন বিশ্রাম খুব জরুরি। যত বিশ্রাম পাবে, শিশু তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মে ২০১৮/ফিরোজ 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়