ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৬ বছর পর হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে আরো ১ মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৬ বছর পর হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে আরো ১ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ছয় বছর বিরতির পর হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মানিলন্ডারিং আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঢাকা ব্যাংকের ১৪টি হিসাব ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তরের দায়ে হল-মার্ক গ্রুপের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) তুষার আহমেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১১ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। কৌশলগত কারণে মামলার বিষয়টি গোপন করা হয়েছে বলে দুদকের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর ফান্ডেড (সোনালী ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ) ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফান্ডেড প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। পরবর্তী সময়ে ফান্ডেড মোট ১ হাজার  ৯৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৩ টাকা  আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে ৩৮ মামলার চার্জশিট দেয় সংস্থাটি। যেখানে সোনালী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ুন কবির, হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদসহ অর্ধশত ব্যাংক কর্মকর্তা ও হল-মার্কসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছিল।

এবারের মামলায় আসামিরা হলেন- হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও গ্রুপের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) তুষার আহমেদ, এক সময়ের জিএম মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন ও তুষার আহমেদের আত্মীয় সুমন ভূইয়া।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সন্দেহজনকভাবে ঢাকা ব্যাংকের ১৪টি হিসাব ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন আসামিরা। দুদকের অনুসন্ধানে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

এছাড়া, নন-ফান্ডেড (হল-মার্কের পক্ষে অন্যান্য ব্যাংকের কাছে সোনালী ব্যাংকের দায়) প্রায় ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকার অনুসন্ধান নানা জটিলতায় এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

২০১২ সালের মে মাসে হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ওই বছরেই অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক ও বর্তমান পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান ও তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়