ষষ্ঠ দিনে মেলায় এসেছে ১৩৮টি নতুন বই
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : মঙ্গলবার ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলার ষষ্ঠ দিন। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে মেলা চলেছে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১৩৮টি। এর মধ্যে গল্পগ্রন্থ ২০টি, উপন্যাস ২৯টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ৬টি, কাব্যগ্রন্থ ৪৩টি, শিশুতোষ বই ৬টি, জীবনী ৪টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ৩টি, নাট্যগ্রন্থ ১টি, বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ ২টি, ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থ ২টি, ইতিহাসমূলক বই ৫টি, স্বাস্থ্যবিষয়ক গ্রন্থ ১টি, অভিধান ১টি, সায়েন্স ফিকশন ৩টি এবং অন্যান্য ১২টি গ্রন্থ।
বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে হয় ‘অশ্বিনীকুমার দত্ত : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বদিউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন কবি আসাদ চৌধুরী, সৈয়দ বদরুল আহসান, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ এবং মো. মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, ‘অশ্বিনীকুমার দত্ত ছিলেন একাধারে মানবপ্রেমিক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ এবং লেখক। তার রচিত গ্রন্থাদি একসময়ে ব্যাপক পরিচিতি ও স্বীকৃতি লাভ করলেও সুদীর্ঘ কর্মজীবনে সমাজসংস্কারক ও জননেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আড়ালে তার লেখক-পরিচিত ঢাকা পড়ে যায়। অশ্বিনীকুমার দত্তের রচনার মধ্যে তার উদার মানবতাবোধ, মানবপ্রেম এবং মানবসেবার সুস্পষ্ট বক্তব্য যুক্তিনিষ্ঠভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ধর্মাধর্মের ভেদ কিংবা উঁচুনিচুর প্রভেদ- এসবের ঊর্ধ্বে।
আলোচকবৃন্দ তাদের আলোচনায় অশ্বিনীকুমার দত্তের জীবনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘অশ্বিনীকুমারের গোটা জীবন ছিল মানবকল্যাণে উৎসর্গিত। শিক্ষাবিস্তার ছিল তার জীবনের এক মহান ব্রত। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণে যেমন তার ভূমিকা স্মরণীয় তেমনি বাংলার সার্বিক সমাজকল্যাণের ইতিহাসে অশ্বিনীকুমার চিরদিন নক্ষত্রপ্রতিম ব্যক্তিত্ব হিসেবে মূল্যায়িত হবেন নিঃসন্দেহে।’
সন্ধ্যায় মূল মঞ্চে লালন সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী চন্দনা মজুমদার, সেলিম চৌধুরী, কোহিনুর আকতার গোলাপী।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অহ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন