ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শিরোপা ঢাকার

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ৫ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শিরোপা ঢাকার

ঢাকা মাস্টার্সের অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের হাতে শিরোপা তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম (ডান থেকে দ্বিতীয়)

ইয়াসিন হাসান, কক্সবাজার থেকে : লক্ষ্য ১০০ বলে ১২৮। এই লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে নাটক, রোমাঞ্চ, উত্তেজনা...কী হলো না আজ! পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত হেসেছে ঢাকা মাস্টার্সের দিকে।



দলটি জিতেছে শততম বলেই। তবে জয়ের ব্যবধান ৫ উইকেটে। স্বস্তি নিয়ে জিততে পারত ঢাকা মাস্টার্স। কিন্তু লড়াকু পুঁজি নিয়ে রাজশাহী মাস্টার্সও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু ঢাকার শ্রেষ্ঠত্বের দিনে শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি রাজশাহী। প্রথমবারের মতো ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের শিরোপা উঠল ঢাকার হাতে। প্রথম পর্বের লড়াইয়ে ঢাকাকে হারিয়েছিল রাজশাহী। আজ মধুর প্রতিরোধ নিল ঢাকা।



তবে শিরোপা জিততে কঠিন পথ পেরুতে হয়েছে তাদেরকে। রাজশাহীর দেওয়া ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায় খালেদ মাহমুদ সুজনের ঢাকা। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ও সজল চৌধুরী। দুজন ৭৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু শেষ দিকে চাপে পড়ে তারা।



শেষ ১৬ বলে (মাস্টার্স ওভার) ২৪ রান লাগত ঢাকার। ১৫তম ওভারে এনামুল হক মনিকে বোলিংয়ে আনেন রাজশাহীর অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। কিন্তু ওই ওভারে দুই ছক্কায় ২০ রান পায় ঢাকা। স্কয়ার লেগ দিয়ে দুটি ছক্কাই হাঁকান সজল। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাত থেকেও রান পায় ঢাকা। সব মিলিয়ে ওই ওভার ১২ বল খেলার সুযোগ পায় চ্যাম্পিয়নরা। সেখানেই ম্যাচ বের করে আনেন ডিকেন্স ও সজল।



শেষ ওভারে রাজশাহীকে আশা দেখিয়েছিলেন আলমগীর কবির। জিততে ৬ বলে ৪ রান লাগত ঢাকার। প্রথম ৩ বলে ২ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে কোনো রান নিতে পারেননি পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়ানো ডিকেন্স। শেষ বলে ঢাকার দরকার ছিল ২ রান। পেসার আলমগীর কবির পুরো ওভারটি দারুণ করলেও শেষ বলটি করেন ফুলটস। ডিপ মিডউইকেট দিয়ে দারুণ এক বাউন্ডারিতে ঢাকাকে জয় এনে দেন ডিকেন্স। হাফ ছেড়ে বাঁচেন ঢাকার অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ।



এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছিলেন। ওপেনিংয়ে নামা এহসানুল হক সেজান দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দেন। মিডলে অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ছিলেন দুর্দান্ত। শেষটা রাঙান ওয়াসেল উদ্দিন আহমেদ। ৪৬ বলে ৪৮ রান করেন এহসানুল হক। ২ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। খালেদ মাসুদ ২০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান।১ ছক্কায় ৭ বলে ১২ রান করেন ওয়াসেল উদ্দিন।



সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াকু সংগ্রহ পায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো করেছিল রাজশাহী। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি।



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/৫ মে ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়