ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নামে প্রতারণার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ৩ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নামে প্রতারণার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের নামে প্রতারণা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

রমনা থানার পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মঙ্গলবার পুলিশের দাখিল করা ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম তিন আসামিকে অব্যাহতির আদেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার মামলার সুপারিশ নাকচ করা হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লী নেতা কামরুল হাসান সুজন, সেলিনা রহমান ও জাহাঙ্গীর।

আদালত সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলার বাঘমারা-মোহনপুর থেকে দুইবার নির্বাচিত প্রাক্তন সংসদ সদস্য মো. আবু হেনা বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ জুলাই রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে আসামি মো. কামরুল হাসান সুজন জানায় যে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আবু হেনার মনোনয়ন নিশ্চিত। ২০০৮ সালে বিএনপি আমাকে মনোনয়ন না পাওয়ায় এটা (আওয়ামী লীগের মনোনয়ন) সুখবর বলে মনে করেন আবু হেনা। ইতোমধ্যেই ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেওয়ায় অর্থ উপদেষ্টার একটি নতুন পদ সৃষ্টির কথা শোনা যায়। সুজন জানায় যে, সুনামগঞ্জ থেকে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবু হেনাকে ওই পদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর নামক কথিত এপিএস ফোন করে এ ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আগ্রহের কথা আবু হেনাকে বলেন। এ পদ পেতে আবু হেনা আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেলিনা রহমান নামের একজন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবি করেন এবং আবু হেনাকে ভাগ্যবান বলে সম্বোধন করেন। তার সঙ্গেও মোবাইলে বহুবার কথা হয়। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবু হেনাকে দেখা করতে বলেছেন। সাক্ষাতের প্রস্তুতি হিসেবে কয়েকটি দামি শাড়ি কেনা হবে এবং সাক্ষাতের দিন শাড়িগুলো আবু হেনার হাত দিয়ে দেওয়া হবে। তার কথার ওপর বিশ্বাস করে সুজনকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সব চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য আরো ১৩ লাখ টাকার উপহার প্রয়োজন বলে জানায় সুজন। ৯ জুলাই ওই টাকাও দেওয়া হয় সুজনকে। এর পরের দিন সুজন জানায় যে, সেলিনা রহমান অসন্তুষ্ট। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য ১৬ জুলাই সুজনের হাতে আরো ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম ব্যবহার করে ‘হেনা আঙ্কেল’ সম্বোধন করে জানায় যে, তার এক বান্ধবীকে স্বর্ণালংকার উপহার দিতে ১০ লাখ টাকা লাগবে। পরের দিন জাহাঙ্গীরকে এ কথা জানানোর পর সে জানায়, সকাল ৯টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা লাগবে। তাদের কথায় সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় টাকা দেওয়ার কথা বলে গত বছর ২২ জুলাই সুজনকে আটক করা হয়। এভাবে তিনজন প্রতারক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নামে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুলাই ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়