ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শচীনের কোচ আচরেকার আর নেই

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ২ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শচীনের কোচ আচরেকার আর নেই

ক্রীড়া ডেস্ক : শচীন টেন্ডুলকারের মতো একজন কিংবদন্তির কারিগর তিনি। তার হাত ধরেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছিল ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার শচীনের। মুম্বাইর শিবাজি পার্কে অবস্থিত আচরেকারের ক্রিকেট একাডেমি থেকে শচীন, বিনোদ কাম্বলি, প্রাভিন আমরি, অজিত আগারকার ও রমেশ পাওয়ারের মতো অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছিলেন। তাদের ছাড়াও ছোট-বড় অনেক ক্রিকেটারের গুরু রামকান্ত আচরেকার আর নেই।

আজ বুধবার মুম্বাইতে ৮৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অবশ্য তিনি ১৯৯০ সাল থেকে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। ২০১৩ সালে স্ট্রোক করার পর থেকে তিনি ইনটেনসিভ মেডিকেল কেয়ারের মধ্যেই ছিলেন। আজ হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আচরেকার ১১ বছর বয়সী শচীন টেন্ডুলকারকে ঠিকমতো দীক্ষা দিতে স্কুল পরিবর্তন করিয়েছিলেন। শচীন গুরুর কথামতো বান্দ্রার নিউ ইংলিশ স্কুল থেকে শর্ষাধাম বিদ্যা মন্দির স্কুলে বদলি হয়ে আসেন। যাতে বেশি বেশি গুরুর সান্নিধ্য পান।

রামকান্ত আচরেকার ১৯৬০ সালে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার হয়ে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে সলিটারি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। এক সময় তিনি মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচকও ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি মর্যাদাকর ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কারে ভূষিত হন। আর ২০১০ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ পান।

কোচের প্রায়াণে শচীন এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘স্বর্গের ক্রিকেটও হয়তো আপনার উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ হবে। অন্যান্য অনেক ছাত্রের মতো আমিও তার কাছ থেকে ক্রিকেটের এ,বি,সি,ডি শিখেছি। আমার জীবনে তার অবদান কতগুলো শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি বর্তমানে যে ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছি সেটার গোড়াপত্তন তার হাত ধরেই হয়েছিল। গেল মাসেও আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি। একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে আমরা অনেক হাসাহাসি করেছি। ধন্যবাদ স্যার আমাদেরকে আপনার জীবনের অংশ করায় এবং আপনার কোচিং ম্যানুয়াল দিয়ে আমাদেরকে সমৃদ্ধ করায়। অনেক ভালো খেলেছেন স্যার। আপনি যেখানেই থাকেন, শেখানোটা চালিয়ে যান।’

কোচ আচরেকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শচীন এক সময় বলেছেন, ‘আমার প্রকৃত ক্রিকেটটা ১১ বছর বয়সেই শুরু হয়েছিল। আমার ভাই আমার মধ্যে ক্রিকেটের বিচ্ছুরণ দেখতে পান। এরপর তিনি আমাকে রামকান্ত আচরেকার স্যারের কাছে নিয়ে যান। তার তত্ত্বাবধানে আমি যে তিন-চার বছর কাটিয়েছি সেটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমার উন্নয়নে। তিনি গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে আমাদের খেলা দেখতেন। তারপর ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেন। আমরা বিষয়টা নিয়ে মজা করতাম। কিন্তু এটা ছিল আমাদের জন্য গার্ডের মতো বিষয়। ম্যাচ টেম্পারামেন্টের ধারণার সঙ্গে তিনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। আমার ভাই অজিত তার কাছে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল কারণ কোচ আচরেকার একজন ছাত্রকে যত সম্ভব অনুশীলন ম্যাচ খেলান।’
 





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৯/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়