ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া অভিযান

সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া অভিযান

ডেস্ক রিপোর্ট : গেল বছরে দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল জঙ্গিদের তৎপরতা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিরা যেমন হামলা চালিয়েছে তেমনি  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফল অভিযান চালিয়ে  জঙ্গিদের বেশ কয়েকটি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

 

বিভিন্ন স্থানে অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহতও হয়েছে। রাজধানীর বাইরে চালানো অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান।

 

নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা : এই জেলার পাইকপাড়ায় ২৭ আগস্ট শনিবার একটি বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় এক ঘণ্টার অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়।

 

ওই দিন সকালে পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকার একটি তিনতলা ভবন ঘিরে অভিযান শুরু করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সোয়াত। সহযোগিতা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)- ১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

 

স্থানীয় লোকজন সেসময় জানায়, সকালে ঘুম থেকে ওঠে তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি দেখতে পান। গাড়িতে করে আসা সাদাপোশাকের পুলিশ সদস্যরা এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেন। তারা পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকায় অবস্থিত একটি ভবন ঘিরে তৎপরতা শুরু করেন।

 

সাড়ে ৯টার পর ভবনের কাছ থেকে প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায় কয়েকবার।

 

পুলিশ জানায়, অভিযানে নিহত তামিম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। সে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল। তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। তামিমকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

 

নারায়ণগঞ্জে তামিমের অবস্থান চিহ্নিত করার পর রাত ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়ি ঘেরাও করে। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সে সুযোগ না নিয়ে উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এরপর পুলিশ অভিযানে যায়।

 

নিহত অন্য দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

 

গাজিপুরে জঙ্গি আস্তানা : চলতি বছরের ৮ অক্টোবর সকালে গাজীপুর সদরের নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকার একটি বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এতে সাত জঙ্গি নিহত হয়।

 

অভিযানে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াত ও গাজীপুর পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়। অভিযানকালে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আকাশ নিহত হয়।

 

 

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলামসে সময় বলেন, জঙ্গিদের প্রথমে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

 

এর আগে একই দিন ভোর থেকে সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল পশ্চিমপাড়া এলাকায় সন্দেহজনক অপর একটি বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তোহিদুল ইসলাম (৩৪) ও নরসিংদীর রাশেদ ইসলাম (২২) নিহত হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ ডিসেম্বর ২০১৬/সুজন/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়