ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তনু হত্যা : মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়ে আলটিমেটাম

মহিউদ্দিন মোল্লা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তনু হত্যা : মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়ে আলটিমেটাম

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা : সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়ে সিআইডিকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা শাখা।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী তনু হত্যার এক বছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এই আলটিমেটাম দেয় গণজাগরণ মঞ্চ।

সোমবার দুপুরে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা শাখা এই সময় বেঁধে দিয়ে কুমিল্লা সিআইডি অফিসে স্মারকলিপি দেয় তারা।

এ ছাড়া কর্মসূচির অবগতির জন্য কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবরও স্মারকলিপি প্রদান করে তারা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা জেলার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান, নারী সংগঠক মমতা রায়হান মম, কবি সৈয়দ আহাম্মদ তারেক, নাবিল হাসান অনিমেশ ও খন্দকার মহিবুল হক।

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা জেলার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান বলেন,  হত্যার একবছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সিআইডি। এর প্রতিবাদে তথ্য অধিকার আইনে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা একটি দাবি উত্থাপন করেছি। আগামী ১০ দিনের ভেতর যদি কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি উল্লেখ করতে না পারে তাহলে ২ এপ্রিল থেকে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

তিনি আরো বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন স্কুল কলেজে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে লাগাতার আন্দোলনে নামবো। আমরা আশা করি অচিরেই তনু হত্যাকারীদের শনাক্ত করে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে মানববন্ধন করে তনুর বিভাগ ইতিহাসের শিক্ষার্থীরা। কলেজের কলা ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নাজিমুল হক স্বপন, সজীব ও সোহাগ প্রমুখ। তাদের আবেগঘন বক্তব্যে অন্য শিক্ষার্থীরা অশ্রুসজল হয়ে পড়ে।

এ ছাড়া কলেজে মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে তনুর সংগঠন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার।

এদিকে তনুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরেও মিলাদের আয়োজন করা হয়।   

তনুর পরিবার জানায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে গত বছরের ২০ মার্চ রাতে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি-কুমিল্লা।

ঘটনার পর পর ঘাতকদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহলসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠলেও ধীরে ধীরে সবই থেমে গেছে। তনুর লাশের দুই দফা ময়নাতদন্ত, মামলার তদন্তকারী সংস্থা, কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও এ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি তনু হত্যা মামলা।



রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/২০ মার্চ ২০১৭/মহিউদ্দিন মোল্লা/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়