কৃষির জন্য পাঁচটি নতুন অ্যাপ
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের কৃষির জন্য তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি নতুন অ্যাপ।
অ্যাপগুলো হচ্ছে - ক্রপ প্রোডাকশন (ফসল উৎপাদন রিপোর্ট) , ডিএই অফিস ডিরেক্টরি, স্যালিনিটি ইনফরমেশন সিস্টেম (লবণাক্তার তথ্য), অর্গানিক ফারমিং (প্রাকৃতিক চাষাবাদ) এবং ওয়েদার ফোরকাস্টিং (আবহাওয়ার পূর্বাবাস)।
রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জাপান থেকে আগত কে.ডি.ডি.আই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দের উপস্থিতিতে বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান কৃষির জন্য পাঁচটি নতুন অ্যাপ উদ্বোধন করেন।
ক্রপ প্রোডাকশন অ্যাপটি থেকে মূলত নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট ফসলের জন্য রিপোর্ট দেখা যায় এবং তৈরি করা যায়। ডিএই অফিস ডিরেক্টরি অ্যাপটিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মচারীর তথ্য এবং প্রয়োজনে তাদের কল করার সুবিধা আছে। অর্গানিক ফারমিং অ্যাপটির মাধ্যমে একজন কৃষক তার ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য, অর্গানিক চাষের বিভিন্ন তথ্য এবং নিয়মাবলী এবং ফসল সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।
স্যালিনিটি ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যাপটির মাধ্যমে একজন কৃষক মোবাইলের মাধ্যমে তার চাষকৃত জমিতে কোন ফসলের উৎপাদন ভালো হবে তা জানতে পারবে। আবহাওয়া অ্যাপটি থেকে যেকোনো মুহূর্তের আবহাওয়ার খবর যেমন, তাপমাত্রা, বাতাসের প্রবাহ, বায়ুমন্ডলের চাপ ও বাতাসের আদ্রতা সম্পর্কের জানা যাবে এবং এছাড়াও পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম ও সার্ভিস-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুলফিকার। অনুষ্ঠানে কর্মসূচির মূল প্রস্তাবনা এবং উন্নয়নকৃত অ্যাপগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. রাজেশ পালিত।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইএটিএল- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস, কেডিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ফুমিও ওয়াতানাবে এবং বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ। তারা এই পাঁচটি নতুন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জাপান সরকারের অনুদানে এশিয়া-প্যাসেফিক টেলিকমিউনিটির এই ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশে এই প্রথম এবং জাপানের কেডিডিআই ফাউন্ডেশন, বিটিআরসি ও ইএটিএল যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও জাপানে কৃষিক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর পর্যালোচনা ও মোবাইল অ্যাপ উন্নয়ন এই দুই ভাগে বিভক্ত ছিল।
নতুন অ্যাপগুলো বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির সংযোগ স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ এপ্রিল ২০১৭/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন