ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ওয়ালটন ফোন নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফোন নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা

অলংকরণ : অপূর্ব খন্দকার

অগাস্টিন সুজন : সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের স্মার্টফোন দিয়ে প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে ব্যাপক প্রশংসিত ওয়ালটন। সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের পারফরম্যান্সে খুশি ক্রেতারা। একই সঙ্গে দেশীয় ব্র্যান্ডটির বিক্রয়োত্তর সেবায়ও সন্তুষ্ট তারা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ালটন স্মার্টফোনের বিশেষ দিক হলো আকর্ষণীয় ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ফিচার, সাশ্রয়ী দাম, কিস্তিতে কেনার সুযোগ এবং সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা। একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন সার্ভিস সেন্টার, কর্মীদের আন্তরিক ব্যবহার, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান ইত্যাদি কারণে স্মার্টফোন গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে ওয়ালটন।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প বাজেটের মধ্যে একটি উন্নতমানের হ্যান্ডসেট পেতে তারা বেছে নিচ্ছেন ওয়ালটনকে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় দামে সাশ্রয়ী কিন্তু মানে ভালো। ওয়ালটন স্মার্টফোনের দারুণ পারফরম্যান্স আর যেকোনো সমস্যায় হাতের নাগালে সার্ভিস সেন্টার - সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট তারা।

বগুড়ার বাসিন্দা মোসফেকুর রহমান নয়ন। সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করছেন দেশের একটি স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তিনি জানান, তার পরিবারে এ পর্যন্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ৫টি স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি ফোন থেকেই তিনি দারুণ সেবা পাচ্ছেন। কখনো সমস্যা দেখা দেয় নি। বর্তমানে তিনি ব্যবহার করছেন প্রিমো জেডএক্স২ মিনি। এক বছর ২ মাস আগে কেনা ফোনটি আশাতীত ভালো সার্ভিস দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রিমো জেডএক্স২ মিনি ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশ ভালো। এর স্ক্রিন চোখের জন্য আরামদায়ক। দীর্ঘ সময় গেম খেললেও চোখে কোনো অস্বস্তি বা সমস্যা হয় না।

 


মোসফেকুর রহমান নয়ন
 

পরিবারের অন্যরা ওয়ালটনের ডি৮ মডেলের স্মার্টফোন এবং জি৩ মডেলের ওয়ালপ্যাড ব্যবহার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলোয় নতুনত্ব আছে। ওয়ালটন নিয়মিত আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং উন্নত ফিচারের নতুন নতুন মডেলের ফোন বাজারে ছাড়ে। যা দেখলেই কিনতে মন চায়। ওয়ালটনের মতো দেশীয় ব্র্যান্ড আছে বলেই স্বল্পমূল্যে উন্নত ফিচারের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। না হলে অনেক বেশি টাকা দিয়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কেনা সবার জন্য সহজ হতো না।

 


জাকিরুল ইসলাম পিয়ার


জাকিরুল ইসলাম পিয়ার। কাজ করছেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে। তিনি দীর্ঘদিন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রিমো জিএইচ৩ মডেলের স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন। ১০ মাস ধরে ব্যবহার করছেন আর৪ প্লাস মডেলের ফোনটি। তিনি জানান, উন্নত ফিচারের ফোনটি ভালোই কাজ করছে। একই সঙ্গে ফোনটি অনেক টেকসই। একবার হাত থেকে ফোনটি রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। এরপর একটি টমটম গাড়ি এর ওপর দিয়ে চলে গেছে। তবুও স্ক্রিন প্রটেক্টর ফেটে যাওয়া ছাড়া আর কোনো সমস্যা হয় নি।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটন আমাদের দেশের উপযোগী করে স্মার্টফোন তৈরি করে। যে কারণে সাশ্রয়ী দামে উন্নত ফিচারের সঙ্গে পাওয়া যায় দীর্ঘদিনের সেবাও।

 


জুলফিকার রহমান
 

রাজশাহীর বাসিন্দা বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জুলফিকার রহমান জানান, তাদের পরিবারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ৩টি স্মার্টফোন রয়েছে। একটি ৩ বছর, আরেকটি আড়াই বছর ও অন্যটি ২ বছর ধরে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড বলে ওয়ালটনের ফোন কিনেছি এবং কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করছি। ২০১৫ সালের আগস্টে প্রিমো আরএম মডেলের ফোনটি কিনেছিলাম। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা পাই নি। ফোনটির পারফরম্যান্স, ব্যাটারি ব্যাকআপ সবকিছু নিয়েই আমি সন্তুষ্ট।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির কাজলা ওয়ালটন প্লাজা থেকে এক্স ফোর প্রো মডেলের ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনেন শাকিল হোসেন। পেশায় ব্যবসায়ী শাকিল জানান, স্মার্টফোনটি খুব ভালো চলছে। পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি তিনি। বিশেষ করে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ, শক্তিশালী র‌্যাম, রম এবং ক্যামেরা ইত্যাদি ফিচার মিলিয়ে এক্স ফোর প্রো তার কাছে এমন একটি ফোন যাতে তিনি সব সুবিধাই পাচ্ছেন। দেশীয় ব্র্যান্ডটির আরো অনেক পণ্য ব্যবহার করছেন জানিয়ে তিনি ওয়ালটনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

 



সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী দেড় বছর ধরে ব্যবহার করছেন প্রিমো আরএক্স৪। তিনি বলেন, এর আগে অন্য ব্র্র্যান্ডের ৩-৪টি ফোন ব্যবহার করলেও সন্তুষ্ট হতে পারি নি। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে খুশি। একবার হাত থেকে ইটের ওপর পড়ে সেটটির ব্যাক-কভার ভেঙে যায়। ওইদিনই সিরাজগঞ্জে ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাই। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ফোনটি ঠিক করে দেন। তার মতে, সার্ভিস সেন্টারের সাজ সজ্জা সুন্দর। সেখানের কর্মীদের ব্যবহারও খুব ভালো।

ওয়ালটন ফোনের পারফরম্যান্স নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য অসংখ্য ক্রেতার। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে তারা আশাতীত সেবা পেয়েছেন। যে কারণে আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহিত করছেন দেশীয় ব্র্যান্ডটির পণ্য ব্যবহার করতে। তাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন একদিন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়