ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নারীদের জন্য ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২০, ১৫ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারীদের জন্য ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের নারীদের প্রযুক্তি ব্যবসায় আগ্রহী করে তুলতে ‘উইমেন ইন ডিজিটাল’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর উইমেন ২০১৭’।

গতকাল সন্ধ্যায়, রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দেড় মাসব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ছিল উইমেন ইন ডিজিটাল, প্রযোজনায় ছিল মাইক্রোসফট এবং সহযোগিতায় ছিল ডেইলি স্টার।

পুরস্কার বিতরণী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবীর, লক্ষীপুর ১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, উইমেন ইন ডিজিটালের উপদেষ্টা আব্দুল খায়ের পাটোয়ারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ও সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, ফিফো টেকের প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদ হোসেন, উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিপ্লবের দর্শন। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি তরুণ প্রজন্মের ওপর নির্ভর করে। তারা শিখতে আগ্রহী এবং এই শিখার আগ্রহ সম্মিলিতভাবে সমগ্র বিশ্বের জয়লাভ করতে সাহায্য করবে।’

ড. মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আইসিটি বাংলাদেশের সমগ্র পরিবেশ পরিবর্তন করতে পারে এবং দিনদিন এটি অনেক দূর যাবে। আইসিটি প্ল্যাটফর্মে আজকের নারীদের কাজ এবং উন্নয়ন সত্যিই প্রশংসনীয়। সুতরাং, সব মেয়েদের একটি উদ্ভাবনী ব্যক্তির মতো এগিয়ে আসতে হবে।’

সোনিয়া বশির কবীর বলেন, ‘জয়ী মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল এবং আরো ভালো কিছুর প্রত্যাশা করি। ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ সকল নারীদের এ খাতে অনুপ্রাণিত করবে|’

আছিয়া খালেদা নীলা বলেন, ‘বাঙালি নারীর সৃজনশীলতাকে প্রোগ্রামিং ও উদ্ভাবন দেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আগামী দিনগুলোতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনও উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে যা আমাদের আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।’

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ইনোভেশন ফর উইমেন শীর্ষক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে সমগ্র বাংলাদেশ সর্বমোট ১৯২টি প্রকল্প নিয়ে ২৬৫ জন নারী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ তিন উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে শীর্ষস্থান অধিকার করে ‘স্বয়ংক্রিয় পোর্টেবল বায়ো-প্ল্যান্ট’ শীর্ষক প্রকল্প। এছারা প্রথম রানার্স আপ হয় মিলিতভাবে ‘সুপার ডোনার’ এবং ‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় ‘টিচার টাইম’|

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকগুলো প্রযুক্তিবান্ধব নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন আয়োজকরা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ অক্টোবর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়