ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পরীক্ষা দিতে পারেনি শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষককে মারধর

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পরীক্ষা দিতে পারেনি শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষককে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় মাদ্রাসা সুপার ও এক সহকারী শিক্ষককে অভিভাবক ও গ্রামবাসী মিলে মারধর করেছে।

এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে মনিরামপুরের বাসুদেবপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মাদ্রাসা সুপার হারুণ-অর-রশিদ ও সহকারী শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে এই দিন বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষকের ভাষ্যমতে, মাদ্রাসায় এখন চলছে বার্ষিক পরীক্ষা। নবম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা নেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী শাহারিয়ার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শাহারিয়ার ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন ধরে পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় আসে। তখন সে জানতে পারে শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সে তার অভিভাবককে বিষয়টি জানায়।

পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বাড়ি মাদ্রাসার কাছাকাছি। তার অভিভাবক ও স্বজনরা খবর শুনে মাদ্রাসার এসে সুপারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামের অনেকে মাদ্রাসায় হাজির হয়। এক পর্যায়ে সুপার হারুণ-অর-রশিদ ও সহকারী শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে গ্রামবাসী মারধর করে মাদ্রাসার রুমের মধ্যে আটকে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারুণ-অর-রশিদ ও বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারী জানিয়েছেন, শাহারিয়ার পরীক্ষা দিতে না পারলে তার অভিভাবক ও গ্রামবাসী এসে মারধর করে মাদ্রাসায় আটকে রাখেন।

মনিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারলে তার অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গিয়ে ঝামেলা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/যশোর/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/বি এম ফারুক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়