আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরো ৪ নারীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে খরকুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আরো চার নারী মারা গেছেন।
রোববার রাতে নিহতরা হলেন- রংপুরের তারাগঞ্জের জামিনুর বেগম, পীরগঞ্জের হাসু বেগম, লালমনিরহাটের মুক্তামনি ও আফরোজা খাতুন (৪১)।
এর আগে শনিবার রাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এরা হলেন- জুম্মাপাড়ার রুমা আক্তার (৬০) ও আখি আক্তার (৪৪)। এ নিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া অন্য ছয়জন হলেন- গোলাপী বেগম, শাম্মী আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহেনা বেগম, মনি বেগম ও মারুফা খাতুন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হামিদুল সরকার জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ খরকুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তারা অগ্নিদগ্ধ হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই আগুন পোহাতে গিয়ে পোড়া রোগী। এদের শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই অগ্নিদগ্ধ হওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবুও যারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ছেন তাদের প্রথমেই প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালতে হবে। এরপর দ্রুত নিকটস্থ ডাক্তার ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নীলফামারীর অগ্নিদগ্ধ তমা বেগমের স্বামী জয়দুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। শীতে গরম কাপড় কিনতে পারি না। তাই আগুনই আমাদের শীত নিবারণের সম্বল। এই আগুন পোহাতে গিয়ে আমার স্ত্রীর এ অবস্থা।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, রোববার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, এ ধরনের তাপমাত্রা থাকবে না। দুই/একদিনের মধ্যেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা।
রংপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৫৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
রাইজিংবিডি/রংপুর/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/নজরুল মৃধা/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন