ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসনের স্বার্থে কোটা দাবি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১২ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসনের স্বার্থে কোটা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি।

স্পেশাল নিয়োগের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতা হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবারো ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের পর ২৮ বছর কোটায় কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী ২৮ বছর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিষ্পেষিত হয়েছে। এছাড়া এই ৩০% কোটা তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সাথে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও এই কোটা বহাল রাখা জরুরি। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধিমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক তাদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারি, লিখিত, মনস্তাত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কী যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়