গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গৃহশ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ, ন্যায্য মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অধিকার ও মর্যাদার জন্য সংগঠন গড়ে তোল’ দাবি নিয়ে গৃহশ্রমিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, গৃহশ্রমিকের অধিকার মানবাধিকার, কিন্তু বর্তমানে এই অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সরকার ইতোমধ্যে গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা-২০১৫ ঘোষণা করেছে। তবে এখন বিষয়টিকে আইনের সুরক্ষায় এনে গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধ ও তাদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার সময় এসেছে। আমরা গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়নের দাবি করছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘গৃহশ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ট্রেড ইউনিয়নের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যদিও রাষ্ট্র সরাসরি দায়িত্ব পালন করে না। এর জন্য নানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এজন্য গৃহশ্রমিক সুরক্ষা নীতিমালা-২০১৫ এর বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার উন্নত মানসিকতা সবার মধ্যে থাকতে হবে। কারণ তারা শ্রমের বিনিময়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। তারা পরজীবী নয়।’

গৃহশ্রমিকদের সম্মান দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন গৃহশ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরি ও সম্মান দিতে হবে।’

সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী ও ডিডব্লিউআরএন'র আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি  শুক্কুর মাহমুদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্ট্যাডিজ এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, নাইম আহসান জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুন ২০১৮/মেহেদী/ইভা