ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উল্কা পতন

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৩ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উল্কা পতন

আহমেদ শরীফ : মহাকাশ থেকে উল্কা পিন্ড ছুটে আসে প্রকৃতির নিয়মে। মানুষ ওই উল্কা পতনের দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়। হাজার হাজার বছর ধরেই উল্কা পতনের এই দৃশ্য দেখে আসছে মানুষ।  কেউ কেউ একে নক্ষত্রের পতনও বলেন। এ সময় কোনো উইশ করলে তা পূরণ হয়, বলিউড ছবির বদৌলতে সেটাও জানি আমরা।

কিন্তু ভেবেছেন কি সত্যিকারের উল্কা পতনের পরিবর্তে যদি কৃত্রিম উল্কা পতনের দৃশ্য দেখতে পান, কেমন অনুভূতি হবে আপনার? প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপায়ে উল্কা পতনের এক মনোরম দৃশ্য সৃষ্টি করতে যাচ্ছে জাপানের একটি কোম্পানি। বিশেষ এক প্রযুক্তিতে ২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকে দেখা যাবে ওই দৃশ্য।

টোকিও ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান এএলই তৈরি করেছে দুটি ছোট আকারের স্যাটেলাইট। ওই দুটি স্যাটেলাইটের প্রতিটি থেকে ৪০০টি করে ছোট আকারের বিভিন্ন রঙয়ের গোলা ছোঁড়া যাবে যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময়। ওই স্যাটেলাইট থেকে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি রঙয়ের গোলা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করা মাত্রই উজ্জ্বল হয়ে হয়ে জ্বলে উঠবে, যা পৃথিবী থেকেই দেখা যাবে।

আগামী বছরের মার্চে প্রথম স্যাটেলাইটটি জাপানের স্পেস এজেন্সি  মহাকাশে পাঠাবে একটি রকেটের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় স্যাটেলাইটটি পরে একটি বেসরকারি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীর কক্ষপথে ওই দুটি স্যাটেলাইট পরিক্রমণ করবে। আর সে বছরের বসন্তে হিরোশিমায় অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে কৃত্রিম উল্কা পতনের এক মনোরম দৃশ্য তৈরি করবে। জাপানের ওই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তাহলে হিরোশিমার প্রায় ১২৪ মাইল এলাকার কয়েক লাখ মানুষ এই মনোরম দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে।

কৃত্রিম উল্কা পতনে কোন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা গোপন রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নানা রঙয়ের বর্ণিল এক উল্কা পতনের দৃশ্য দর্শকরা দেখতে পাবে বলছে ওই প্রতিষ্ঠান।

স্যাটেলাইট দুটি নির্মাণ ও উৎক্ষেপণে মোট ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে জানিয়েছে এএলই প্রতিষ্ঠানটি। দু’বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করবে ওই দুটি স্যাটেলাইট।

ভিডিও :

তথ্যসূত্র : স্কাই নিউজ


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়