ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দাম ‘বেশি’ তাই যাচাইয়ে ব্যস্ত ক্রেতারা

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৯ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দাম ‘বেশি’ তাই যাচাইয়ে ব্যস্ত ক্রেতারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কোরবানীর ঈদ সামনে রেথে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই রাজধানীতে পশুর হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে হাটগুলো গরু-ছাগলে প্রায় পূর্ণ হয়ে গেলেও বেচাকেনা জমে ওঠেনি।

কারণ হিসেবে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি দাম কিছুটা বেশি বলা হলেও এটিতে তাদের কোনো হাত নেই। গো খাদ্যের চড়া মূল্যের কারণে পশুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

রোববার রাজধানীর বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যেছে, ক্রেতার উপস্থিতি ও চাহিদার তুলনায় গরু-ছাগলের যোগান অনেক বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানালেন, রোববার ‘কোনোরকম’ বিক্রি হবে। আর সোমবারই বেশিরভাগ গরু বিক্রি হয়ে যাবে। মঙ্গলবার হবে বাকিগুলো। তাদের যুক্তি, ঢাকায় পশু রাখার স্থান সংকট এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন হাটে গিয়ে যাচাই প্রবনতার কারণে প্রতিবছর এমনটা হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।  

 



মেরাদিয়া হাটে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি মোদাচ্ছেন হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘তিনদিন আগে গরুগুলো নিয়ে আসছি। এখনো একটিও বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।’

দাম বেশির কারণে এমন হচ্ছে কী না জানতে চাইলে এই খামারি বলেন, ‘গরুর খাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সেই তুলনায় গরুর দাম বেশি না। একটু লাভের আশায় সবাই ঈদে গরু নিয়ে সেই দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকায় আসে। পুরো বছর গরুর রক্ষনাবেক্ষন আর যত্নে যে কষ্ট হয়, সেই তুলনায় দাম বেশি না।’

গাবতলীর হাটে গরু বিক্রেতা গাফফার এসেছেন ৮টি গরু নিয়ে মাগুরা থেকে। তিনি জানান, প্রচুর গরু উঠলেও বিক্রি এখনো জমেনি। সোমবারই পুরো জমে উঠবে হাটগুলো। প্রতিবছরই রাজধানীবাসী হাটের শেষ দুই দিন গরু কেনেন।

 



মেরাদিয়া, উত্তর শাজাহানপুর, খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, গাবতলী হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটগুলোতে বিপুল সংখ্যক গরু এসেছে। রোববার এসেছে সবচেয়ে বেশি। কারণ হিসেবে ইজারাদাররা বলছেন, রাস্তায় যানজট থাকায় ট্রাক আসতে একটু দেরি হয়েছে। এদিকে এবার ভারতীয় গরুর তুলনায় দেশি গরু বেশি। আর এজন্য খুশি ক্রেতা বিক্রেতারা। গরুর মালিকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে দেশে খামারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এই খাতে একটি নীরব বিপ্লব ঘটে যেতে পারে বলে তাদের মত। 

মেরাদিয়া হাটে দেশি গরু কিনতে এসেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হারুন খন্দকার। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘গরুর দাম বেশি বা কম কোনো বিষয় নয়। তবে গরু সবসময় দেশিই কিনি। দেশি গরুতে তৃপ্তিবোধ করি। সেজন্য আগেই দেশি গরুর খামারিদের কাছে যাই।’  

গতবছরের তুলনায় গরুর দাম বেশি দাবি করে আরেক ক্রেতা মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘গরু ভেদে দেড়গুণ পর্যন্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে। এজন্য হাটগুলো যাচাই করছি। আজ মেরাদিয়ায় এসেছি। কাল শাহজাহানপুর যাবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো।’ তিনি জানান, সত্তর হাজার টাকায় যে গরু গত বছর বিক্রি হয়েছে এ বছর সেরকম গরুর দাম একলক্ষ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে।’ তবে তার আশা সোমবার গরুর দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ আগস্ট ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়