ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পশুপালনে সহায়ক ডিজিটাল সেবা আনল গ্রামীণফোন

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পশুপালনে সহায়ক ডিজিটাল সেবা আনল গ্রামীণফোন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন খামারিদের জন্য প্রথমবারের মতো আইওটিভিত্তিক ডিজিটাল সল্যুশন ‘ডিজি কাউ’ উন্মোচন করেছে। পূর্বাচলের মাস্কো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের খামারে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এটি চালু করা হয়। ডিজিটাল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পশুপালনের ক্ষেত্রে খামারিদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে এ সল্যুশন সহায়তা প্রদান করবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাস্কো গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান এম এ সবুর। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার মাহমুদ হোসেন, হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম ও প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস ইনোভেশন সৈয়দ আশিকুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এ সল্যুশন নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বলেন এবং এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য গ্রামীণফোনকে শুভেচ্ছা জানান চ্যানেল আইয়ের বার্তা পরিচালক, ও কৃষি উন্নয়নকর্মী শাইখ সিরাজ। 

অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারি এবং দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের সামনে এ সেবার ডেমো প্রদর্শন করে গ্রামীণফোন।

ডিজিকাউ সল্যুশনে আইওটিভিত্তিক স্মার্ট ট্যাগ রয়েছে। প্রতিটি গরুর শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত স্মার্ট ট্যাগ সার্বক্ষণিকভাবে ওই পশুর শরীরের তাপমাত্রা, হরমোনজনিত তাপের পর্যায়কাল ও আচরণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য প্রদান করবে। ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পশুর ওভ্যুলেশন সময়কাল থেকে শারীরবৃত্তিয় নানা তথ্য পাবে। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এসব তথ্য দিবে অ্যাপ।  

অনুষ্ঠানের গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে এটি গ্রামীণফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশের মানুষের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এ ধরনের উদ্ভাবনে নিরলস কাজ করে যাবো।’ 

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ মানুষ গবাদি পশু পালন করে এবং ২০ শতাংশ মানুষ গবাদি পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ১৯৮০ সাল থেকে দেশের খামারিরা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ক্রসব্রিড গরুর প্রচলণ শুরু করে। এ পদ্ধতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে গরুর হরমোনজনিত তাপের পর্যায়কাল শনাক্ত করা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, এ হরমোনজনিত তাপের পর্যায়কাল শনাক্ত না করতে পারায় প্রতিবার প্রায় ১৩,০০০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। গরু বা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকে বোঝার বা শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। বর্তমানে দেশে উল্লেখিত কারণে গরু মৃত্যুর হার ৫.৬ শতাংশ।   

ডিজি কাউ সল্যুশন ব্যবহারের মাধ্যমে খামারিদের আয় বৃদ্ধি পাবে, গরুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে, পশু মৃত্যুর হার কমে আসবে এবং খামার ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়