ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহারও বাড়ছে। সবার জন্য ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের খাতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি একদিকে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে তেমনি এ খাতে সচেতন থাকাও এখন সময়ের দাবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।

ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি এখন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের বৃদ্ধির দ্রুততার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকটা সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এ কারণে অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর মতো কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। এর বাইরে হ্যাকিং বা অন্যের তথ্য চুরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনলাইনে কাউকে হেয় করা কটুক্তি করা যাবে না।

দেশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটি কোড অন্যকারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না, এমনকি কাছের বন্ধু কিংবা কোনো স্বজনের সঙ্গেও না। আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য আপনি ব্যাতীত অন্য কারো কাছেই সুরক্ষিত নয়।

অনলাইনে শুধুমাত্র কারো ছবি দেখে বা প্রোফাইল দেখে কাউকে চেনা যায়না। অনেকেই মন্দ উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য দিয়ে রাখে অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য। কাজেই অনলাইন থেকে কোনো অপরিচিতর সঙ্গে দেখা না করাই শ্রেয়। তবে একান্ত প্রয়োজনের নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আগে থেকেই নিশ্চিত করা উচিৎ।

অনলাইনে ভুয়া পেজ খুলে প্রোপাগান্ডা ছড়ালে বিপদ ঘটতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সদ্ব্যব্যবহার করুন। অনলাইনে সাইবার দুর্বৃত্তরা প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখে। একটু সচেতন হলেই আপনি এ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। কেউ অনলাইনে টাকা চাইলেই দেবেন না। অনলাইনে ভুয়া লিংকে ক্লিক করা বা শেয়ার না করাই শ্রেয়।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ নিপীড়নের শিকার না হতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। যেসব পোস্ট অন্যকে বিব্রত করে এ ধরনের আক্রমণাত্মক পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে সাইবার ‍দুনিয়ায় নিরাপদ থাকতে পারবেন। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণসচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই সতর্ক থাকলে এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে বাংলাদেশকে বহুলাংশে সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব। সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকতে সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে।

ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরতে কাজ করছে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য মন্ত্রণালয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট:

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়