ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নিপুন-রুমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিপুন-রুমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমার রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোনো একদিন তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের দুই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ১৬ নভেম্বর এ দুই আসামির এক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ নভেম্বর রিমান্ড শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর এ দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এরপর এ দুই মামলায় রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচনী আচরণবিধিতে ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিএনপিনেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুটি মিছিল একই দিকে আসতে থাকে। মির্জা আব্বাস ৮ থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মীর একটি মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। তারা নয়াপল্টনের ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হন। তাদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিএনপি অফিসে অবস্থানরত রুহুল কবির রিজভীসহ অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের জানানো হয়। অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার বিষয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঘোষণা দিতে অনুরোধ করা হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ